1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভুয়া ক্যামেরা বসিয়ে অভিযুক্ত, অবশেষে রেহাই

১৪ ডিসেম্বর ২০১৮

জার্মানির কোলন শহরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুয়া গতিসীমা নিয়ন্ত্রণকারী ক্যামেরা বসানোর অভিযোগ ওঠে৷ তবে ক্যামেরা বসানোর উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তিনি মুক্তি পেয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3A66i
Deutschland Fotomesse photokina 2016 in Köln
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg

সোমবার কোলনের একটি আদালত ৩৬ বছর বয়সি ইয়ানিক ইয়ুংয়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ঐ মামলা খারিজের নির্দেশ দেয় আদালত৷ ইয়ুং তাঁর বাড়ির সামনে গতি নিয়ন্ত্রক একটি ভুয়া ক্যামেরা বসিয়েছিলেন৷তাঁর দাবি, বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিটি গাড়ি গতি বাড়িয়ে দেয়৷ ফলে তাঁকে বাধ্য হয়ে ঐ ক্যামেরা বসাতে হয়েছে, যাতে গাড়ি চালকরা ওটা দেখে গতি কমান৷ 

ইয়ুং পেশায় মিস্ত্রী৷ কোলনের উত্তরে একটি বাড়িতে দুই শিশু সন্তান নিয়ে থাকেন তিনি৷ গাড়িগুলো এত দ্রুত চলে যে তাঁর সন্তানরা রাস্তা পার হতে ভয় পেতো৷ বছরখানেক আগে তাঁর বাড়ির সামনে একটি ক্যামেরা বসান, যার সামনে লেখা ছিল গতিসীমা ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার৷ এরপর এক গাড়ি চালক ব্যাপারটি লক্ষ্য করে পুলিশকে জানালে মামলাটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়৷

আদালত অভিযোগ আমলে নিলে ইয়ুংয়ের জরিমানাসহ দুই বছরের কারাদণ্ড হতো৷  ইয়ুং শুনানিতে বলেন, ‘‘আমি মানুষকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছিলাম, আবাসিক এলাকায় গাড়ির গতিসীমা ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটারের বেশি হওয়া উচিত নয়৷ কোনো অপরাধ করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না৷''

আদালতের ভাষ্য মতে, ক্যামেরা বসানোর আগে ইয়ুং বহুবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টা জানিয়েছিল৷ সেখানে উল্লেখ করা ছিল যে, ঐ এলাকায় একটি কিন্ডারগার্টেন এবং একটি সেকেন্ডারি স্কুল রয়েছে৷ কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ আমলে নেয়নি৷

পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা ৩০ দিনের জন্য গতি নির্ধারক একটি যন্ত্র বসিয়েছিল সেখানে৷ তখন ঘণ্টায় ৩৩ কিলোমিটার গতি রেকর্ড করা হয়েছিল৷ এ কারণে তাঁরা আর কোনো পদক্ষেপ নেননি৷ বিচারক তাঁর রায়ে বলেন, ইয়ুংয়ের কর্মকাণ্ড শাস্তিযোগ্য, কিন্তু তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ইয়ুং এটা করেননি৷ এ কারণে তাঁকে অব্যাহতি দেয়া হলো৷ 

এপিবি/এসিবি (ডিপিএ)