1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গুয়াইদোর গোপন বৈঠক

৩১ জানুয়ারি ২০১৯

ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদো জানিয়েছেন, তিনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ এদিকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে প্রতিদিন টিভিতে সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3CUvS
ছবি: Reuters/C.G. Rawlins

ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদো জানিয়েছেন, তিনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ এদিকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে প্রতিদিন টিভিতে সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷

নিউইয়র্ক টাইমসে লেখা এক প্রবন্ধে গুয়াইদো বলেন, তিনি ‘সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন’৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সরকার পরিবর্তনের জন্য মাদুরোর উপর থেকে সামরিক বাহিনীর সমর্থন প্রত্যাহার জরুরি৷ দেশটির বর্তমান অবস্থা যে সমর্থনযোগ্য নয়, সে ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর অধিকাংশ সদস্যই একমত৷’’

এদিকে, প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে প্রতিদিন সরকারি টেলিভিশনে সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷ এভাবে তিনি তাঁর সরকারের শক্তি দেখাতে চাইছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ বুধবার টিভিতে দেখানো এক ফুটেজে মাদুরোকে একটি সেনা ক্যাম্পে দেখা গেছে৷ সেখানে তিনি সৈন্য ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনারা কি দেশকে ভালোবাসেন? আপনারা কি সংবিধান রক্ষা করবেন? আপনারা কি আপনাদের কমান্ডার-ইন-চিফকে রক্ষা করবেন?’’ উত্তরে সামরিক সদস্যরা বলেন, ‘‘হ্যাঁ, কমান্ডার-ইন-চিফ৷’’

এদিকে, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বুধবার বলেন, ‘‘স্পষ্ট করে বললে নিকোলাস মাদুরোর গণতান্ত্রিক বৈধতার অভাব আছে৷ তিনি ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নন৷’’ দেশটিতে শিগগিরই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি৷

Venezuela, Proteste in Caracas
ছবি: Reuters/C.G. Rawlins

তবে রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মাদুরো নতুন নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কিছু বলেননি৷ অবশ্য তিনি সমস্যার সমাধানে বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন৷

উল্লেখ্য, প্রথমে উগো চাবেস, তারপর নিকোলাস মাদুরো – দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় পরপর শাসন করে গেছেন দুই কট্টর বামপন্থি নেতা৷ চাবেসের মৃত্যুর পর ২০১৩ সাল থেকে সমাজতান্ত্রিক কাঠামোর আওতায় দেশ শাসন করছেন মাদুরো৷ সদ্য সমাপ্ত বিতর্কিত নির্বাচনে জয়লাভ করে ১০ জানুয়ারি তিনি আবার ক্ষমতায় এসেছেন৷ সেই নির্বাচনে বিরোধীদের কার্যত নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল৷ তখন থেকেই প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলে আসছে৷

এই অবস্থায় সপ্তাহখানেক আগে হুয়ান গুয়াইদো নিজেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ তবে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক মাদুরোর পক্ষে তাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছে৷

গুয়াইদোকে সমর্থন জানিয়ে এবং মাদুরোর বিপক্ষে সারা দেশে নিয়মিত বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ শনিবারও বিশাল সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে৷

এদিকে, গুয়াইদোর দেশ ছাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভেনেজুয়েলার সুপ্রিম কোর্ট৷ তাঁর বিরুদ্ধে সাংবিধানিক নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তবে গুয়াইদো জানিয়েছেন, তিনি দেশ ছাড়তে চান না৷ বরং অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় যে নাগরিকরা দেশ ছেড়ে গেছেন, তাঁদের তিনি ফিরিয়ে আনতে চান বলে জানিয়েছেন৷

জেডএইচ/এসিবি (এপি, রয়টার্স)