1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভ্যাকসিনের দাম হাজার টাকা, পাওয়া যাবে একুশে

২২ জুলাই ২০২০

সবকিছু ঠিক থাকলে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ভারতে নভেম্বর-ডিসেম্বরে পাওয়া যাবে। দাম হবে এক হাজার টাকা। ২০২১ এর প্রথমে তা সাধারণ লোকের কাছে পৌঁছবে। 

https://p.dw.com/p/3fgYx
ছবি: picture-alliance/AP Photo/University of Oxford

ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তৈরি করবে মহারাষ্ট্রে পুনের সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সংস্থার প্রধান আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফল হলে নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন বাজারে এসে যাবে। তাঁরা যে পরিমাণ ভ্যাকসিন উৎপাদন করবেন, তার অর্ধেক ভারতের জন্য থাকবে। বাকি অর্ধেক বিশ্বের অন্য দেশে পাঠানো হবে।

দাম কত হবে

পুনাওয়ালা বলেছেন, এই ভ্যাকসিনের দাম হবে এক হাজার টাকা। এখন করোনা পরীক্ষা করতে আড়াই হাজার টাকা লাগে। অনেক ওষুধের দাম হাজার দশেকের মতো। কিন্তু তাঁরা দাম কম রাখছেন। সরকার সম্ভবত অধিকাংশ ভ্যাকসিন কিনে তা বিনা পয়সায় সকলের কাছে পৌঁছে দেবে। প্রতিটি সরকারের টিকাকরণ প্রকল্প আছে। তার অধীনেই এই ভ্যাকসিন বিনা পয়সায় পাওয়ার কথা। আফ্রিকার দেশগুলির জন্য দুই থেকে তিন ডলারে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

পুনাওয়ালার দাবি. ''আমরা লাভ করার জন্য ভ্যাকসিনের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করব না। গোটা বিশ্ব মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের দর্শন হলো, এখন কম দামে ভ্যাকসিন দেওয়া। মহামারি শেষ হয়ে গেলে তখন বাণিজ্যিক স্বার্থের কথা ভাবা যাবে। তার আগে নয়। আমরা গত তিন মাস ধরেই এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক অন্য টিকার উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছি।''  

প্রথমে কারা পাবেন

ভ্যাকসিন বাজারে আসার পর প্রথমে কারা পাবেন, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, সেটা সরকার ঠিক করবে। এখনও এ নিয়ে কথা পুরো হয়নি। তবে তাঁর ব্যক্তিগত মত হলো, যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন সেই চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী, পুর কর্মী, পুলিশদের প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে বয়স্ক এবং যাঁরা এমনিতে শ্বাসকষ্ট বা ফুসফুসের রোগে ভোগেন, তাঁদের টিকা পাওয়ায় অগ্রাধিকার থাকা উচিত। সুস্থ যুবদের পরে টিকা দিলেও চলবে।

কত ভ্যাকসিন

সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চললে প্রথমে কয়েক লাখ টিকাপাওয়া যাবে। উৎপাদন শুরুর এক বছরের মধ্যে ১০০ কোটি ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়া হবে। এমনিতে সেরাম ইনস্টিটিউট বিশ্বে সব চেয়ে বেশি ভ্যাকসিন উৎপাদন করে। পুনাওয়ালা বলেছেন, চলতি সপ্তাহেই বেশি সংখ্যায় ভ্যাকসিন তৈরির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হবে। তারপর তাঁরা ভারতে চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চালাবেন। অগাস্টে সেই পরীক্ষা হবে। এই বছরের শেষের দিকেই  ৩০ থেকে ৪০ কোটি ভ্যাকসিন তাঁরা বাজারে ছাড়তে চান। জানুয়ারির শেষের মধ্যে তা রাজ্যগুলির হাতে তা চলে যাবে। তারপর ভারতে ব্যাপকভাবে টিকাকরণ শুরু হবে। অর্থাৎ নভেম্বরে টিকা বাজারে আসলেও সাধারণ লোকের কাছে পৌঁছতে ২০২১-এর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি লেগে যাবে। 

জিএইচ/এসজি(ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি)