1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ভয়ের সংস্কৃতি তৈরির জন্য ডিজিটাল আইন’

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ভয়ের সংস্কৃতি তৈরির জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার হচ্ছে বলে মনে করেন সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা৷ অন্যদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, আইনটির প্রয়োজন আছে, তবে অপব্যবহার রোধ করতে হবে৷

https://p.dw.com/p/3pzAO
Talkshow I Khaled Muhiuddin I  Dr. Mijanur Rahman I Golam Mortoza
ছবি: DW

ডয়চে ভেলের ইউটিউব টক শো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’- এ অংশ নিয়ে তারা এমন মন্তব্য করেন৷ এবারের আলোচনার বিষয় ছিল, ‘মৃত্যুর ডিজিটাল মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীর দায়’৷ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে আটক লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর দায় থেকে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে মুক্তি পাবেন, শুরুতে এমন প্রশ্ন ছিল তাদের কাছে৷ এই বিষয়ে অধ্যাপক মীজানুর রহমান মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর দায়ের প্রশ্নটি প্রাসঙ্গিক নয়৷ তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রের হেফাজতে যখন কেউ মারা যায়, রাষ্ট্রকেই এর ব্যাখ্যা দিতে হবে৷ ব্যাখ্যাটা আগে আসুক কীভাবে মারা গেলেন৷’’ তার মতে, দায় নেয়া মানেই ব্যাখ্যা দেয়া৷ কীভাবে মৃত্যু হলো, কেন মৃত্যু হলো সেই তদন্ত করতে হবে৷ জামিন পাওয়া মুশতাকের অধিকার ছিল৷ মুশতাকের সঙ্গে অন্যরা যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা মুক্তি পেয়েছেন, কিন্তু তিনি কেন মুক্তি পেলেন না সেটিও সংশ্লিষ্টদের জানাতে হবে৷

তবে বিষয়টি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন গোলাম মোর্তোজা৷ তিনি বলেন, ‘‘দেশ পরিচালনা করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এককভাবে, এটা মোটামুটিভাবে একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য৷ দেশে যদি ভালো সবকিছুর কৃতিত্ব এক জনের হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হয়, তাহলে এর খারাপ বা নেতিবাচক যে-কোনো কিছুর দায় অবশ্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপরে পড়ে৷ তিনি নিজেও বিষয়টি অস্বীকার করবেন বলে আমার মনে হয় না৷’’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ মে লেখক মুশতাক আহমেদ ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ পরদিন ‘সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর' অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়৷ কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে প্রকৃত অভিযোগ কী, তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়েছে৷ এই বিষয়ে গোলাম মোর্তোজা বলেন, মুশতাক আহমেদ বা একজন কিশোর ব্যক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ মূলত ভয়ের সংস্কৃতি ও সেলফ সেন্সরশিপ যাতে তৈরি হয় সে কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ এক্ষেত্রে ডিজিটাল আইন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোনো প্রয়োজন নেই৷ বাংলাদেশে যে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে সেই ভয়ের সংস্কৃতির জন্য এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এই আইনটিকে ব্যবহার করে নিপীড়ন করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে৷’’ তিনি মনে করেন, প্রচলিত আইনের মধ্যেই ডিজিটাল মাধ্যমের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব৷

তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন অধ্যাপক মীজানুর রহমান৷ তিনি বলেন, ‘‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবশ্যই থাকতে হবে৷ তবে যেখানে যেখানে অপব্যবহারের সুযোগ আছে সেগুলো রহিত করতে হবে৷ স্বচ্ছতা আনতে হবে, যাতে অপব্যবহারের কোনো সুযোগ না থাকে৷’’ তার মতে, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড রুখতেই এ আইন প্রয়োজন৷ 

এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা যোগ করেন, ‘‘আমাদের একটা বিষয় পরিষ্কার বোঝা দরকার যে, সরকারের সমালোচনা করা মানেই রাষ্ট্রের বা দেশের সমালোচনা করা নয়৷...সরকার যখন যৌক্তিক সমালোচনার জবাব দিতে পারে না, সেই কারণে সেই সমালোচনাটুকুকে সরকার দেশের বা রাষ্ট্রের সমালোচনা মনে করে খড়গহস্ত হয়৷’’

এফএস/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান