1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্যে দেড় হাজার সেনা পাঠাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

২৫ মে ২০১৯

ইরানের সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে মধ্যপ্রাচ্যে দেড় হাজার সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে দেশটি এটাও জানিয়েছে যে এখনই ইরানের সঙ্গে কোন সামরিক সংঘাতে জড়াতে চায় না ওয়াশিংটন৷

https://p.dw.com/p/3J4Pk
ছবি: picture-alliance/dpa/S.Zaklin

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে জটিলতা তৈরি হওয়ায় সুরক্ষার খাতিরে মধ্যপ্রাচ্যে দেড় হাজারের মতো সেনা পাঠানো হচ্ছে৷ তবে দেশটির সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সংঘাতের যে সম্ভবনার কথা শোনা যাচ্ছে তা ততটা জোরালো নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

তিনি বলেন, ‘‘আমরা মধ্যপ্রাচ্যে সুরক্ষা চাই৷ আমরা এজন্য তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের সৈন্যদল সেখানে পাঠাচ্ছি, যাদের অধিকাংশেরই কাজ হবে সুরক্ষা নিশ্চিত করা৷'' 

ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি মনে করি ইরান এই মুহূর্তে যুদ্ধে যেতে চাচ্ছে না৷ এবং আমি নিশ্চিতভাবে এটা মনে করি যে তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না৷ তবে, তা সত্ত্বেও তারা পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না৷''

প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহে ইরানের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে দেশ দু'টির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে৷ দেশটি এসব নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ২০১৫ সালে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে নতুন করে দর কষাকষি করতে চায়৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে সেই চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছেন৷

চলতি মাসের শুরুর দিকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে বোমারু বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা পেট্রিয়টসহ পারস্য উপসাগরে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

এদিকে, পেন্টাগন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে কিছু ঘটনার সঙ্গে ইরান সরকারের হাত রয়েছে ধারণা করায় সেখানে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ সেসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে বাগদাদের গ্রিন জোনে রকেট হামলা, গাল্ফ-এ চারটি তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরক ব্যবহার করে অন্তর্ঘাত এবং সৌদি একটি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা৷

পেন্টাগনের জয়েন্ট স্টাফ বিষয়ক পরিচালক মাইকেল গিল্ডে এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা এসব ঘটনাকে ক্যাম্পেইন হিসেবে দেখছি৷ তবে আমরা মনে করি যে খুবই পরিমিত মাত্রায় মোতায়েনের মাধ্যমে আমরা এই বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছি যে আমরা ইরানে সঙ্গে যুদ্ধবিগ্রহে যেতে চাচ্ছি না৷''

রাশিয়ার এক আইনপ্রণেতা অবশ্য শুক্রবার জানিয়েছেন যে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আসন্ন বৈঠকে তুলতে পারে মস্কো৷

এআই/এডিকে (এএফপি, রয়টার্স)