1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মশা তাড়ায় যে সাবান

২১ এপ্রিল ২০১৭

মশা মারতে কামান নয়, বরং এক ভিন্ন উপায় নিয়ে হাজির হয়েছেন আফ্রিকার এক রসায়নবিদ৷ ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক সাবান তৈরির চেষ্টা করছেন তিনি, যা লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/2berQ
Malaria Mücke
ছবি: picture alliance/blickwinkel/Hecker/Sauer

সন্ধ্যার সময় শিকারের খোঁজে বের হয় বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী পোকা৷ অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী৷ প্রতিবছর প্রায় দশ লাখ লোক এই রোগে মারা যায়৷ মশা এবং এই রোগ প্রতিরোধের অভিনব এক উপায় বের করেছেন এক তরুণ রসায়নবিদ৷ ২০২০ সালের মধ্যে এক লাখ জীবন বাঁচাতে চান তিনি৷ তাঁর নাম জেরার নিয়নডিকো৷

এই রসায়নবিদ বলেন, ‘‘আফ্রিকায় দশকের পর দশক ধরে মানুষ ম্যালেরিয়ার মারা যাচ্ছে৷ এই রোগ অনেক সমস্যার জন্য দায়ী৷ এই সমস্যার সমাধান বের করতে আফ্রিকানদের কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ৷''

তবে এটা সহজ কাজ নয়৷ ম্যালেরিয়াবিরোধী কার্যক্রমে প্রতিবছর দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো বিনিয়োগ করা হয়৷ কিন্তু এই রোগ পুরোপুরি নির্মুলের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ অনেক চেষ্টা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অকার্যকর, বলেন জেরার নিয়নডিকো৷ তিনি অবশ্য এই চেষ্টা ভিন্নভাবে করতে চান – এক সহজ এবং কার্যকর অলৌকিক অস্ত্র ব্যবহার করে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা সাবান নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেননা এটা এমন একটি পণ্য যা ঝুঁকি থাকা মানুষদের প্রতিদিনের জীবনে সহজেই সন্নিবেশ করা যায়৷ আফ্রিকার ৯৫ শতাংশ বাড়িতে সাবান ব্যবহার হয়, এমনকি দরিদ্রতম পরিবারেও৷''

ফাসো সাবান শুধু পরিষ্কারের জন্যই নয়, এটির গন্ধও মশাকে দূরে সরিয়ে দেয়৷ প্রতিরোধের এই পন্থা তৈরিতে যে তেল ব্যবহার করা হয়েছে তা স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ সম্ভব৷ রাতের বেলা মশারি মানুষকে মশা থেকে দূরে রাখলেও দিনে এবং সন্ধ্যার সময়, বিশেষ করে যখন মশারা আক্রমণাত্মক, তখন মানুষকে রক্ষার উপায় তেমন নেই৷ নির্মাণ শ্রমিক লুই নাতামা এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমি একজন নির্মাণ শ্রমিক এবং কাজের সময় তেমন প্রতিরোধক থাকে না৷ ফলে প্রায়ই মশা কামড়ে দেয় যা আমাকে ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়৷''

মশা প্রতিরোধক ক্রিম এবং স্প্রেগুলো দামি এবং অধিকাংশক্ষেত্রেই তেমন কার্যকর নয়৷ আর ফাসো সাবানের দাম সাধারণ সাবানের চেয়ে বেশি হবে না এবং দিনের বেলায় প্রয়োজনের সময় সেটি সুরক্ষা দেবে৷ নিয়নডিকোর কথায়, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ছয় ঘণ্টা নিরাপত্তা দেয়া৷ আর তা সংক্রমণের ঝুঁকি অর্ধেক কমিয়ে আনবে৷''

সময় যত কম নষ্ট হবে, ততই মঙ্গল – কেননা প্রতি দুই মিনিটে একটি শিশু ম্যালেরিয়ায় মারা যাচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য