1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহামারি রোধে প্রস্তুত থাকবে রোবট

২৯ এপ্রিল ২০২০

জাপানি গবেষকরা এমন কিছু অতি ক্ষুদ্র রোবট পরীক্ষায় সক্ষম হয়েছেন যেগুলো সহজেই মানবদেহে প্রবেশ করে ক্যানসার সেলের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম৷

https://p.dw.com/p/3bYsa
ছবি: AFP

এসব রোবট তারা ভবিষ্যতের কোনো প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করতে চান৷

পরবর্তী মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্ভবত সিনথেটিক পলিমার, প্রোটিন, জিনগত ও জৈব উপাদানে তৈরি অতি ক্ষুদ্র রোবট ব্যবহার করা হবে৷ সেগুলো মানবদেহে প্রবেশ করে সম্ভাব্য ক্ষতিকর ভাইরাস পার্টিকেল ধ্বংসের পাশাপাশি প্রতিরোধ গড়তে ইমিউন সেলকে প্রশিক্ষণও দিতে পারবে৷

এ রকম চিকিৎসা অনেকের কাছে কোনো সাইফাই মুভির কাহিনি মনে হতে পারে৷ তবে বিষয়টি এখন বাস্তবে প্রয়োগেরও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ অন্তত কাজুনরি কাটাওকা তা-ই মনে করেন৷

জাপানের ইনোভেশন সেন্টার অব ন্যানো মেডিসিন (আইসিওএনএম)-এর এই গবেষক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা ‘ইন-বডি হসপিটাল’-এর ধারণা নিয়ে গত নয় বছর ধরে কাজ করছি৷ একটি ন্যানো মেশিনের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরে চিকিৎসা কর্মকাণ্ড পরিচালনা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য৷

‘‘অসংখ্য স্বনির্ভর যন্ত্র শরীরের মধ্যে ছেড়ে দেয়া হবে, যেগুলো অস্বাভাবিক কিছু আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবে এবং রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা করবে,’’ বলেন তিনি৷

জাপানে চিকিৎসা খাতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত গবেষণা এতকাল ক্যানসারকেন্দ্রিক ছিল৷ দেশটিতে ১৯৮১ সাল থেকে এখন অবধি মৃত্যুর অন্যতম কারণ ক্যানসার৷ পঞ্চাশ বা তার চেয়ে বেশি বয়সি জাপানিরা সাধারণত ক্যানসারে আক্রান্ত হন৷

কাটাওকা বলেন, ‘‘ন্যানোস্কেল মাইসেলস এত ছোট যে সেগুলো সহজেই ক্যানসার সেলে প্রবেশ করতে পারে এবং বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এই প্রযুক্তির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হচ্ছে৷’’

করোনা মহামারির কারণে গবেষকরা এখন এসব অতি ক্ষুদ্র রোবট ভবিষ্যতে নতুন কোনো প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায় কিনা সেই গবেষণা করছেন৷ টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রফেসর সাতোসি উচিডা এই বিষয়ে বলেন, ‘‘ম্যাক্রোমলিকুলার ড্রাগস এবং বায়োলজিক্যাল কম্পাউন্ড, যা প্রোটিন এবং নিউক্লিক অ্যাসিডের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সেগুলো করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে অপেক্ষাকৃত ভালো প্লাটফর্ম গড়তে পারে৷ আমাদের ন্যানোমেশিনগুলো প্রোটিন এবং নিউক্লিক এসিড শরীরের প্রয়োজনীয় অঙ্গে পৌঁছে দিতে পারবে৷’’

যেহেতু প্রোটিন এবং নিউক্লিওটাইড সরবরাহের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে, সেগুলো ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় নিয়ে গবেষণা বছরখানেকের মধ্যেই শুরু হবে বলে মনে করেন উচিডা৷

জুলিয়ান রয়েল/এআই