1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাত্র ২০ মিনিটে গাড়ি চার্জ হবে?

১৪ জানুয়ারি ২০১৯

ইলেকট্রিক গাড়ির প্রসারে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, এগুলো চার্জ হতে অনেক সময় লাগে৷ এর সমাধানে জার্মানি ও স্পেনের একদল বিজ্ঞানী কাজ করছেন৷

https://p.dw.com/p/3BUxI
Batterie für Elektro-Auto - Lithium-Ionen-Batterie für Chevrolet Volt
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/J. West

তাঁরা তারবিহীন এক পদ্ধতি বের করেছেন, যার সাহায্যে মাত্র ২০ মিনিটে একটি গাড়ি চার্জ করা সম্ভব বলে দাবি করছেন তাঁরা৷

স্পেনের সারাগোসায় বিজ্ঞানীরা  ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য একটি অভিনব চার্জিং স্টেশন তৈরি করেছেন৷ তারবিহীন এই স্টেশনে গাড়ি চার্জ হতে সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট৷

প্রকৌশলী লুর্দেস গার্সিয়া জানান, ‘‘ইন্ডাক্টিভ, অর্থাৎ তারবিহীন প্রযুক্তিতে গাড়ি চার্জ হয়৷ এক্ষেত্রে চার্জিং স্টেশনের টারমার্কের নীচে কয়েল বসানো থাকে৷ গ্রিড থেকে কয়েলে জ্বালানি সরবরাহ করা হয়৷ কোনো গাড়ি টারমার্কের উপর সঠিকভাবে উঠলে কয়েল আর গাড়ির মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়৷ তখন কয়েল থেকে গাড়িতে জ্বালানি সরবরাহ হতে পারে৷ এভাবে কার, ভ্যান কিংবা ইলেকট্রিক বাস চার্জ করা যায়৷''

গবেষকরা বলছেন, এই পদ্ধতি তুলনামূলকভাবে সহজ ও নিরাপদ৷ বিজ্ঞানীরা এখন পরীক্ষামূলকভাবে সফল এই পদ্ধতির বাণিজ্যিক রূপ দিতে আগ্রহী৷

হাতের নাগালে ইলেকট্রিক গাড়ি

প্রকৌশলী জোসে ফ্রান্সিসকো সান্স ওসোরিও বলেন, ‘‘একটি পরিপূর্ণ তারবিহীন চার্জিং স্টেশন তৈরির জন্য যা প্রয়োজন, তার প্রায় সবই আমাদের কাছে আছে৷ এখন আমরা কয়েল প্রস্তুতকারক খুঁজছি৷ কিন্তু এই কয়েলগুলো এতটাই অন্যরকম যে, এগুলো তৈরি করতে পারার মতো যুতসই কোম্পানি খুঁজে পাওয়া কঠিন হচ্ছে৷''

ইউরোপীয় এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য, মানুষকে ইলেকট্রিক গাড়ির সুবিধা সম্পর্কে জানানো৷ কিন্তু তার আগে প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে৷

প্রকৌশলী আক্সেল বারকোভ বলেন, ‘‘প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে,  গাড়ি আর অবকাঠামোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের কাজটি সফলভাবে করা৷ পরের চ্যালেঞ্জ, ৫০ কিলোওয়াটের একটি চার্জিং স্টেশনে ৩ দশমিক ৭ কিলোওয়াটের একটি গাড়ি কীভাবে চার্জ করা সম্ভব৷ আর সবশেষ চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে, গাড়ি ঠিক জায়গায় বসানো৷ পরীক্ষায় দেখা গেছে, টারমার্কের নীচে থাকা কয়েলের উপর গাড়িটি কিভাবে বসছে, তার ওপর চার্জ হওয়া নির্ভর করে৷''

এর সমাধান হচ্ছে, এমন এক পদ্ধতি বের করা, যা গাড়িকে ঠিক জায়গায় বসাতে সাহায্য করবে৷ ফলে জ্বালানি অপচয় হবে না৷ ম্যাগনেটিক ফিল্ড, অপটিক সিস্টেম আর অ্যালগোরিদমের সাহায্যে সমাধানের পথ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা৷

প্রকৌশলী ইয়র্গ ক্যুফেন বলেন, ‘‘গবেষণার এই পর্যায়ে এসে আমরা ক্যামেরা আর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন, অর্থাৎ আরএফআইডি ব্যবস্থার সাহায্যে একটি উপায় বের করতে পেরেছি, যা চালককে গাড়িটি ঠিক জায়গায় পার্ক করতে সহায়তা করবে৷''

চার্জিং স্টেশনের সক্ষমতা বাড়াতে আরো গবেষণার প্রয়োজন৷

প্রকৌশলী জোসে ফ্রান্সিসকো সান্স ওসোরিও বলেন, ‘‘এখানে আমরা একটি ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে কাজ করছি৷ অন্য দেশে হয়ত অন্য ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ হতে পারে৷ এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি ঠিক করতে হবে৷ কয়েলের আকার নিয়েও একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে৷ একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইলে এসব বিষয় প্রয়োজন হবে৷''

প্রকৌশলী আক্সেল বারকোভ জানান, ‘‘আমার মনে হয়, এই পদ্ধতিতে চার্জ গ্রহণে সক্ষম  গাড়ি তৈরির কাজ শুরুর কাছাকাছি পৌঁছেগেছি আমরা৷ দু-এক বছরের মধ্যে এটি শুরু হতে পারে বলে আমার মনে হচ্ছে৷''

গবেষকরা এবার এমন এক চার্জিং স্টেশন তৈরির চেষ্টা করছেন, যা দিয়ে গাড়ি চলার সময়ই চার্জ দেয়া সম্ভব হবে৷

জেডএইচ/এসিবি