1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

মারিউপলে ক্রেমলিনের প্রতিনিধি

৫ মে ২০২২

বুধবার মারিউপল ঘুরে দেখেন পুটিনের ঘনিষ্ট ব্যক্তি। বাল্টিক সাগরে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে রাশিয়ার মক ড্রিল।

https://p.dw.com/p/4Aq9k
ইউক্রেন
ছবি: Alexei Alexandrov/AP/picture alliance

এই প্রথম মারিউপলে পৌঁছালেন ক্রেমলিনের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি. রাশিয়া অবশ্য এবিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেয়নি। দনেৎস্কের রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতবাদী নেতা ডেনিস পুশিলিন টেলিগ্রামে প্রথম এই খবর প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, সারগেই কিরিয়েনকো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্লাদিমির পুটিনের অফিসে ডেপুটি সেনা প্রধানের দায়িত্ব সামলান তিনি। এর আগে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।

ডেনিস পুশিলিনের দাবি অনুয়ায়ী, বুধবার কিরিয়েনকো মারিউপলে যান এবং পরিস্থিতি বুঝে আসেন। মারিউপল এখন কার্যত রাশিয়ার হাতে। শুধুমাত্র একটি কারখানার ভিতর থেকে এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। রাশিয়াও লাগাতার সেখানে বোমাবর্ষণ করছে। ওই কারখানায় এখনো শতাধিক বেসামরিক ইউক্রেনের নাগরিক আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়ার পরমাণু কুচকাওয়াজ

বাল্টিক অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার জায়গা কালিনিনগ্রাদ। বুধবার সেখানেই পরমাণু অস্ত্রের মক ড্রিল করে রাশিয়ার সেনা। পরমাণু শক্তি সম্পন্ন ব্যালেস্টিক মিসাইল ব্যবহারের কুচকাওয়াজ করা হয়। রাশিয়া জানিয়েছে, মিসাইল লঞ্চার, বিমানবন্দর, সামরিক কাঠামো, সামরিক অস্ত্র এবং কম্যান্ড পোস্ট ধ্বংসের মক ড্রিল করা হয়েছে। প্রায় ১০০ সেনা ওই মক ড্রিলে অংশ নিয়েছিল। রেডিয়েশন এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হলে কীভাবে তার সঙ্গে জুঝে নিতে হবে, তারও ড্রিল হয়েছে বলে রাশিয়া জানিয়েছে।

বাল্টিক সাগরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে আগেই। সুইডেন, ফিনল্যান্ড ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রাশিয়া তখনই জানিয়েছিল, এমন হলে বাল্টিক সাগরে শক্তিসাম্য রক্ষা করা যাবে না। ওই অঞ্চলে পরমাণু অস্ত্র মজুত করবে তারা। মঙ্গলবারই জার্মানির চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের রাষ্ট্রপ্রধানের। তারপরেই রাশিয়ার এই ড্রিল তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইউক্রেন-ইসরায়েল বৈঠক

সম্প্রতি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই লাভরভ একটি ইটালীয় টেলিভিশনকে লম্বা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি ইহুদি বিদ্বেষী কথা বলেছেন বলে অভিযোগ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। বুধবার এই বিষয়ে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে কথা বলেন।

জার্মানিকে বিশ্বাস

সম্প্রতি জার্মানির ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা ইউক্রেনে গেছিলেন। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। জার্মানিতে ফিরে এসে তিনি জানিয়েছেন, জার্মানির উপর তার বিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন জেলেনস্কি। মূলত তিনটি সাহায্য জার্মানির কাছে চেয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সেনাকে আটকাতে দূরপাল্লার মিসাইল, অদূর ভবিষ্যতে ইউক্রেনের নিরাপত্তা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ। আগেই জার্মানির বিরোধী রাজনীতিকরা বলেছিলেন, চ্যান্সেলর ওলফ শলৎসের ইউক্রেনে যাওয়া উচিত।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)