1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ

৪ জানুয়ারি ২০১৫

পূর্ব-পশ্চিমে দুই বাণিজ্য চুক্তি, কিউবার সঙ্গে নতুন দোস্তি, মার্কিন কংগ্রেস ইরানের সঙ্গে সমঝোতায় বাগড়া দেবে কিনা, গুয়ান্টানামো বন্দিশিবির বন্ধ করা যাবে কিনা – মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সামনে এখন অনেক রকম হেঁয়ালি!

https://p.dw.com/p/1EEJO
Obama Jahresend-Pressekonferenz 19.12.2014
ছবি: C.Somodevilla/Getty Images

প্রথমত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যার নাম রাখা হয়েছে ট্র্যান্সঅ্যাটল্যান্টিক ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ বা টিটিআইপি৷ এটি হলো পূর্বমুখী চুক্তি – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভৌগোলিক অবস্থানের হিসেবে৷ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যে পশ্চিমমুখী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিটি, সেটির নাম ট্র্যান্সপ্যাসিফিক পার্টনারশিপ বা টিটিপি: এর আওতায় পড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তথাকথিত প্যাসিফিক রিম দেশগুলি, যথা অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, চিলি, জাপান, ক্যানাডা, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনাম – কিন্তু চীন নয়৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তিটি ডুবতে বসেছিল শুধুমাত্র ‘‘ক্লোরিন চিকেন''-এর কারণে৷ ব্যাপারটা এই: যুক্তরাষ্ট্রে পোলট্রি চিকেন মাংস হিসেবে বিক্রি করার আগে তা ক্লোরিন দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া হয়, ইউরোপের হবু ক্রেতাদের যা-তে আপত্তি৷ ব্যাপারটা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছায় যে, খোদ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে আশ্বাস দিতে হয়, ইউরোপের গ্রাহকদের ক্লোরিন চিকেন খেতে হবে না৷ অপরদিকে ইউরোপে উচ্চ বেকারত্বের পরিপ্রেক্ষিতে টিটিআইপি-র মূল্য হবে অসীম, বলে ম্যার্কেল মন্তব্য করেন৷

BdT Deutschland Umweltaktivisten TTIP Chlorhühnchen
জার্মানিতে ‘‘ক্লোরিন চিকেনের’’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদছবি: Reuters/M. Rehle

বলতে কি, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বর্তমান৷ টিটিআইপি বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক প্রতিবন্ধক দূর করার চেষ্টা করবে, ফুড সেফটি স্ট্যানডার্ড বা খাদ্য নিরাপত্তার মান নির্দেশ করবে, এছাড়া তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং শুল্ক ছাড়া অপরাপর প্রতিবন্ধক দূর করবে৷ টিটিপি নামধারী এশীয় চুক্তিটি আর একটু বেশি প্রথাগত বলা চলতে পারে৷ এই চুক্তি শুল্ক কমাবে, পেটেন্ট এবং কপিরাইট সম্পর্কে নীতিমালা দেবে, এছাড়া আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও সরকার-নিয়ন্ত্রিত কোম্পানিগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা থেকে উদ্ভূত সমস্যাবলীর সমাধান নির্দেশ করবে৷ ওবামা দু'টি চুক্তিকেই উদ্যমের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শ্রমিক সংগঠন, পরিবেশ সংরক্ষণ গোষ্ঠী, এমনকি ডেমোক্র্যাট রাজনীতিকরাও তাদের বিরোধিতা জ্ঞাপন করেছেন৷

ইরান প্রসঙ্গে ওবামা বনাম সেনেট

ইরানের সঙ্গে পশ্চিমের পরমাণু বিরোধ চলেছে প্রায় এক দশক ধরে৷ অবশেষে ২০১৫ সালের পয়লা জুলাইয়ের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ টেকনিক্যাল চুক্তি সম্পাদিত হবার কথা – আলাপ-আলোচনা চলেছে৷ এই পরিস্থিতিতে মার্কিন সেনেট হুমকি দিচ্ছে, ইরানের উপর আরো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করার – যা করলে আলাপ-আলোচনার ভরাডুবি ঘটতে বাধ্য, বলছে মার্কিন প্রশাসন এবং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্বয়ং ভেটো প্রয়োগ করার কথা বলেছেন৷

হোয়াইট হাউস চায় এমন একটি চুক্তি, যা কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই কার্যকরি হবে৷ ঠিক সে গুড়ে বালি দিয়ে সেনেটর মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার একটি বেতার সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, রিপাবলিকান অধ্যুষিত কংগ্রেসে নাকি একটি ‘‘ভেটো-প্রুফ সুপার-মেজরিটি'' আছে, যারা একাই ইরানের উপর উত্তরোত্তর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করার ক্ষমতা রাখে৷

কিউবায় আবার ধরপাকড়

Tania Bruguera
কিউবার পার্ফর্মেন্স আর্টিস্ট তানিয়া ব্রুগেরাছবি: picture-alliance/dpa

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবার মধ্যে নতুন দহরম মহরম শুরু হওয়া যাবৎ এই প্রথম দু'টি দেশের মধ্যে আবার একটি কূটনৈতিক কোঁদলের সূত্রপাত ঘটতে চলেছে৷ গত বুধবার কিউবা কর্তৃপক্ষ আবার ৫১ জন ‘ডিসিডেন্ট' বা ভিন্নমতাবলম্বী, অর্থাৎ সরকার-বিরোধীদের গ্রেপ্তার করে পরে ছেড়ে দেন৷ এর মাত্র দু'সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো ঘোষণা করেছিলেন যে, দু'টি দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হতে চলেছে৷

ঘটনায় কিউবার পার্ফর্মেন্স আর্টিস্ট তানিয়া ব্রুগেরা তাঁর দেশবাসীদের আহ্বান জানিয়েছিলেন হাভানার প্রখ্যাত ‘‘বিপ্লবের চত্বরে'' জড়ো হয়ে দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিজেদের স্বপ্নকে অভিব্যক্তি দেবার৷ তানিয়া অকুস্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ওয়াশিংটন মানবাধিকার সম্পর্কে হাভানা সরকারের ‘‘শ্রদ্ধাহীনতার'' সমালোচনা করেছে৷

সেই গুয়ান্তানামো

US Präsident Obama will Guantanamo Verfahren aussetzen
গুয়ান্তানামো বন্দিশিবিরছবি: picture alliance/dpa

সবশেষে বাকি থাকছে ওবামার সেই আদি ও অকৃত্রিম প্রতিশ্রুতি যে, তিনি গুয়ান্তানামো বন্দিশিবির বন্ধ করবেন৷ এক ধাক্কায় না হলেও, সে কাজ দৃশ্যত ধীরে ধীরে এবং ধাপে ধাপে এগোচ্ছে৷ ২০১৪ সালের শেষেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দু'জন তিউনিশীয় এবং তিনজন ইয়েমেনি বন্দিকে একটি মার্কিন সামরিক বিমান সহযোগে কাজাখস্তানে পাঠিয়েছে৷ এই পাঁচজন ১১ বছরের বেশি সময় ধরে গুয়ান্তানামো বন্দিশিবিরে অন্তরীণ ছিল৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য