1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা

১১ জানুয়ারি ২০১০

ক্রিসমাসের দিন একটি মার্কিন বিমানে ব্যর্থ হামলা চেষ্টার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাকা ওবামা আরো নিরাপত্তা বিধানের কথা বলেছেন-একটা সদিচ্ছা কিন্তু একই সাথে এটা অবাস্তব৷

https://p.dw.com/p/LR0r
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাছবি: AP

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত সপ্তাহে বারংবার বলেছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারী উমর ফারুক আব্দুল মুতালাব এর একটি মার্কিন বিমানে উঠতে পারাটা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা ও গোয়েন্দা বিভাগের ব্যবস্থাগত ব্যর্থতা৷ তাই তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটতে পারে তার জন্য যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করা৷ এটা সদিচ্ছ এবং একই সাথে আবার অবাস্তবও৷

ব্যর্থ হামলা চেষ্টার পর ঘটনার যে তদন্ত করা হয় তার প্রাথমিক রিপোর্টের ফলাফল ভীতিজনক৷ ফলাফল থেকে জানা যায়, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ-যেগুলোর কিছু গঠন করা হয়েছে দুই হাজার এক সালের এগারো সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর তারা তাদের কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টার সংস্থাগুলোর প্রশংসাতে এর পরিবর্তন হবে না৷ তাঁরা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সংস্থাগুলো সফলতাও দেখিয়েছেন৷ তবে গুরুতর ব্যর্থতাই ঘটেছে৷

BdT Obama Pressekonferenz Flugsicherheit
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ওবামাছবি: AP

দশ্যতঃ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ধারণা করে নি যে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ থেকে মার্কিন মাটিতে হামলা চালোনোর প্রস্তুতি নিতে পারে৷ মার্কিন গুপ্তচর সংস্থাগলো মনে করেছিল সন্ত্রাসীরা তাদের পরিকল্পনা শুধুমাত্র আফ্রিকার দেশগুলোতেই সীমাবদ্ধ রাখবে৷ কিন্তু ক্রিসমাসের দিনে বেশ কয়েকশ মানুষের জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল৷

এদিকে, বিভিন্ন সংস্থা এবং কর্তৃপক্ষ এমন কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে যেগুলো এই পরিস্থিতিতে কোন সাহায্যে আসতে পারে৷ তাই প্রেসিডেন্টের জন্য এটাই হচ্ছে সর্বোচ্চ সময় তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করা এবং গোয়েন্দা বিভাগে মৌলিক পরিবর্তন আনা -যাতে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাঁদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন৷ গোয়েন্দা ব্যবস্থার পক্ষ নিয়ে ওবামা এর কথা বললে চলবে না৷ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে৷

সে যাই হোক, কোথাও সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে শতভাগ পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয়- বিমানেও নয়৷ এর পরেও বিমান ভ্রমণ হচ্ছে নিরাপদতম যানবাহন মাধ্যম৷ এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, সন্ত্রাসীরা শুধু মানুষ হত্যা করতে আগ্রহী নয় তারা আগ্রহী সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঘটাতেও৷ তারা সকলের স্বাধীনতাও খর্ব করতে চায়৷ তাদের এ লক্ষ্য অর্জনে জোর বাধা সৃষ্টি করতে হবে৷

সংবাদভাষ্য: লিখেছেন ক্রিস্টিনা ব্যার্গমান, ভাষান্তর: আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ