1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিউনিখ ও ডর্টমুন্ডের স্টেডিয়ামে অভিনব প্রযুক্তি

১৪ নভেম্বর ২০১৭

জার্মানিতে আধুনিক স্টেডিয়ামগুলির চমকের শেষ নেই৷ মিউনিখের স্টেডিয়ামে চোখ-ধাঁধানো আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে ডর্টমুন্ড স্টেডিয়ামে কৃত্রিম সূর্যালোক ও ঘাস গরম রাখার ব্যবস্থা সত্যি অবাক করার মতো৷

https://p.dw.com/p/2nW6G
ছবি: picture-alliance/Sven Simon

জার্মানির সবচেয়ে দামি স্টেডিয়াম তৈরি করতে প্রায় তিন বছর সময় লেগেছে৷ প্রায় ৩৪ কোটি ইউরো ব্যয় হয়েছে৷ স্টেডিয়ামের হীরার মতো দেখতে খোলসের মধ্যে রয়েছে অভিনব এক আলোকসজ্জা৷ সাদা, লাল ও নীল রঙের আলোর খেলা দেখে প্রতিদ্বন্দ্বী টিমের ফ্যানরাও মুগ্ধ না হয়ে পারেন না৷ এক হাজারেরও বেশি বাতাস ভরা বালিশের সাহায্যে এই চোখ-ধাঁধানো আলোকসজ্জা ফুটিয়ে তোলা হয়৷

গোটা স্টেডিয়াম ঘিরে এমন বালিশের স্তরের পেছনে প্রায় ২৫ হাজার ফ্লুরোসেন্ট টিউব রয়েছে৷ পাশাপাশি রাখা কাচের পাতের ভিতর দিয়ে সাদা, লাল ও নীল রঙের আলো ছড়িয়ে পড়ে৷ এই আলোকসজ্জা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ এক সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে৷ এর মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যে স্টেডিয়ামের রং বদলে দেওয়া যায়৷

স্টেডিয়ামের বিল্ডিং বিভাগের প্রধানের একটা বিশেষ সুবিধা রয়েছে৷ তিনি যে কোনো জায়গা থেকে এই সফটওয়্যার চালাতে পারেন৷ মোবাইল ফোনের এক অ্যাপের মাধ্যমে তিনি একটি ক্লিক করেই গোটা স্টেডিয়ামে আদর্শ আলো জ্বালিয়ে দিতে পারেন৷ বাতাসের বালিশগুলি পাশাপাশি রাখলে আড়াইখানা ফুটবল মাঠ ভরে যাবে৷ আকাশ পরিষ্কার থাকলে মিউনিখের এই স্টেডিয়ামের আলোকসজ্জা ১০০ কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা যায়৷

জার্মানির সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম ডর্টমুন্ড শহরে অবস্থিত৷ খাড়া গ্যালারিতে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ বসতে পারেন৷ কিন্তু চারিদিকে এত দীর্ঘ গ্যালারি থাকায় মাঠের ঘাস যথেষ্ট সূর্যের আলো পায় না৷ তাই কৃত্রিম পদ্ধতিতে তার উপর রোদ ফেলা হয়৷ প্রায় ৮ হাজার বর্গমিটার ঘাস রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন গ্রাউন্ডকিপার ভিলি ড্রস্টে৷ তিনি বলেন, ‘‘আজকের মতো মেঘলা দিনে অথবা শীতকালে কম অথবা একেবারেই রোদ না পেলে এই সুর্যালোক সৃষ্টির প্লান্ট কাজে লাগানো হয়৷ এভাবে ঘাসগুলির রোদের ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে৷ ফলে সারা বছর ধারাবাহিকভাবে ঘাস গজায়৷''

প্রায় ৪০ বছর আগে ডর্টমুন্ড স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছিল৷ গত কয়েক দশকে ক্রমাগত সম্প্রসারণ করা হয়েছে৷ তবে এই কর্মকাণ্ডের ফলে আলো অনেক কমে গেছে৷ কৃত্রিম রোদের প্লান্ট শুধু ঘাস নয়, গোটা স্টেডিয়ামে প্রয়োজনীয় আলোর জোগান দেয়৷

প্রায় আড়াই টন ওজনের এই আলোভরা খাঁচা দিনে বেশ কয়েকবার খেলার মাঠের উপর দিয়ে চালানো হয়৷ এভাবে সবুজ ঘাসের ক্ষেত্রের প্রতিটি কোণে কৃত্রিম সূর্যালোক পৌঁছে যায়৷ ফলে নতুন করে পাতা গজায়, যা সুস্থ ঘাসের জন্য অত্যন্ত জরুরি৷ ভিলি ড্রস্টে গোটা স্টেডিয়ামের উপর কড়া নজর রাখেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এখান থেকে সব কিছু ভালোভাবে দেখা যায়, অনুভব করা যায়৷ এই আলো, এখানকার তাপমাত্রা গাছেদের জন্য কতটা ভালো, তা টের পাওয়া যায়৷ শীতকালে পারদ নেমে মাইনাস ছুঁলে আমি বিশাল হিটিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ১২ ডিগ্রি উত্তাপ রাখতে পারি এবং উপর থেকেও ঘাসেদের ১২ ডিগ্রি উত্তাপ দিতে পারি৷ শীতেও ঘাসের জন্য এটা আদর্শ পরিবেশ৷''

ঘাসের এই হিটিং ব্যবস্থার ফলে শীতেও খেলোয়াড়দের পা ঠান্ডা হয়ে যায় না৷ শুধু দর্শকদের হিমশীতল পরিবেশে বসে থাকতে হয়৷ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে আসন গরম রাখার কোনো ব্যবস্থা এখনো নেই৷ তবে আসল ফুটবল অনুরাগীরা তাতে দমে যাবার পাত্র নন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য