1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমার: সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চায় চীন

৮ মার্চ ২০২১

মিয়ানমার পরিস্থিতির সমাধানে আলোচনার হাত বাড়ালো চীন। রোববারেও গোটা দেশ জুড়ে তীব্র আন্দোলন হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3qKi8
মিয়ানমার
ছবি: Str/REUTERS

উত্তপ্ত মিয়ানমার। রোববার গোটা দেশ জুড়ে একাধিক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। বেশ কিছু জায়গায় রবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। দেশের পুরনো রাজধানী বাগানে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজের খোল পাওয়া গিয়েছে বলে একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের দাবি। শনিবার রাতে বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ এবং সেনা রেড করেছিল। তারপরেই রোববার দিকে দিকে বড় বড় সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। অন্যদিকে, চীন মিয়ানমারে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় বলে জানিয়েছে। চীনের বক্তব্য, দ্রুত এই পরিস্থিতির অবসান দরকার। 

৩৮ জনের মৃত্যুর পরও বিক্ষোভ থামেনি মিয়ানমারে

গত সপ্তাহে অং সান সু চি-র দলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আহত অবস্থায় তিনি ভর্তি ছিলেন সেনা হাসপাতালে। শনিবার তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। বলা হয়, পুলিশের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে ৫৮ বছরের ওই ব্যক্তির। তারপরেই দিকে দিকে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। তারই মধ্যে শনিবার রাতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় রেড করে। মূলত সু চি-র দলের বিভিন্ন কর্মীর বাড়িতে রেড চালানো হয়। বিক্ষোভকারীরা তাতে আরো খেপে যান। পুলিশের গুলি, কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট উপেক্ষা করে রোববার দিনভর তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

ইয়াঙ্গনে এক আন্দোলনকারীর ছবি মিলেছে। তারা থুতনি সহ একাধিক জায়গায় রবার বুলেটের আঘাত। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পুলিশ এবং সেনা নির্বিচারে আক্রমণ চালাচ্ছে। মাথা লক্ষ্য করে লাঠি মারা হচ্ছে। যে কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে মাথায় আঘাত নিয়ে সব চেয়ে বেশি মানুষ ভর্তি হচ্ছেন। অভিযোগ, হাসপাতালে ঢুকেও পুলিশ অত্যাচার চালাচ্ছে। জাতিসংঘের হিসেবে এখনো পর্যন্ত ৫৪ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজার ৭০০ জনকে।

চীনের হস্তক্ষেপ

মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রথম মুখ খুলল চীন। রোববারের ঘটনার পরে চীনের এক উচ্চপদস্থ কূটনীতিক জানিয়েছেন, চীন নিঃশর্তে মিয়ানমারে আলোচনা চালাতে চায়। কোনো পক্ষ অবলম্বন না করে দেশের বিভিন্ন দল এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করতে চায় চীন। এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে চীন।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হয় যে, মিয়ানমারের সেনা চীনের সাহায্য নিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে দিয়েছে। চীন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। চীনের বক্তব্য, মিয়ানমার তাদের বহুদিনের বন্ধু রাষ্ট্র। সেখানে যাতে স্থিতাবস্থা ফিরে আসে, তার জন্য সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)