1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে সেনার বিরুদ্ধে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সেনা অভ্যুত্থান ও সু চি-র মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারে লাখো মানুষের বিক্ষোভ। ২০০৭-এর পর এতবড় বিক্ষোভ আর হয়নি।

https://p.dw.com/p/3p2KB
মায়ানমার, সু চি
ছবি: Reuters/E. Plevier

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ও সু চি সহ বিভিন্ন নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাস্তায় নামল সাধারণ মানুষ। তাও কয়েকশ বা কয়েক হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষ প্রতিবাদ করলেন সেনা শাসনের বিরুদ্ধে। দেশের প্রধান শহর ইয়াঙ্গন সহ অন্তত ১২টি ছোট-বড় শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গর্জন করেছেন, 'আমরা সেনার শাসন চাই না, আমরা গণতন্ত্র চাই।'

সেনা অবশ্য এই বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে দিনভর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। রাতের দিকে তা আবার চালু হয়।

সেনার দাবি ছিল, নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতি করে জিতেছে সু চি-র দল। তারা অবশ্য এই অভিযোগের সমর্থনে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। কিন্তু সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও তাঁর দলের প্রধান নেতাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এই বিশাল প্রতিবাদ হলো।

ইয়াঙ্গনে মানুষ লাল শার্ট পরেছিলেন। হাতে লাল বেলুন নিয়েছিলেন। লাল হলো সু চি-র দলের রঙ। বাস ও গাড়ি থেকে সমানে হর্ন বাজানো হয়। মানুষ তিন আঙুলের স্যালুট করেন। এই অঞ্চলে স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই স্যালুট করা হয়।

ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেও প্রতিবাদ থামানো যায়নি। প্রতিবাদে অংশ নেয়া মানুষের সংখ্যা সমানে বাড়তে থাকে। অনেকের হাতে ধরা ছিল পোস্টার, তাতে লেখা, 'আমাদের ভোটের দাম আছে'।

ইয়াঙ্গনে ২০০৭ সালের পর এত বড় বিক্ষোভ আর হয়নি। তখন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছিলেন। তাই তার নাম হলো গেরুয়া বিপ্লব। বিক্ষোভকারীরা সুলে প্যাগোডা পর্যন্ত মিছিল করে যান। তবে সব চেয়ে বেসি পুলিশ মোতায়েন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। তবে ইয়াঙ্গন থেকে সংঘর্ষ বা সহিংসতার খবর এখনো আসেনি। তবে কিছু ছোট শহরে পুলিশ রবার বুলেট ছুড়েছে।

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা সেনাশাসনে থাকতে চান না। তাঁরা ভয়ের পরিবেশ চান না। তাঁরা মাদার সু-র মুক্তি চান।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)