1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা, দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেসব বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি৷

https://p.dw.com/p/358Tk
Bangladesch Rohingya-Flüchtlinge in Palong Khali
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Armangue

আইসিসির কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদা তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছেন৷ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পূর্ণ তদন্ত শুরু করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখবেন তিনি৷

উল্লেখ্য, মিয়ানমার আইসিসির সদস্য না হলেও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে বিচারের আওতায় আনা যায় কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আইসিসির কাছে গত এপ্রিলে একটি শুনানি আয়োজনের আবেদন করেছিলেন কৌঁসুলি বেনসুদা৷

সপ্তাহ দুয়েক আগে আইসিসি জানায় যে, রোহিঙ্গা বিতাড়ন নিয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার আইসিসির আছে৷ যদিও মিয়ানমার সেই সময় আইসিসির এখতিয়ার থাকার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছিল৷

এরপরই বেনসুদা মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় জানান, তিনি প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন৷ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকাণ্ডের কারণে রোহিঙ্গারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে – যেমন মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, হত্যা, যৌন সহিংসতা, গুম, ধ্বংস ও লুন্ঠন – সেসব বিষয়ে তিনি তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন৷

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালআইসিসির তদন্ত শুরু করার খবরকে স্বাগত জানিয়েছে৷ এক টুইটার বার্তায় তারা জানিয়েছে, এর ফলে রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার একটি পথ খুলেছে৷

জাতিসংঘের প্রতিবেদন

রোহিঙ্গা নিপীড়ন বিষয়ে তদন্ত করতে জাতিসংঘের গঠন করা একটি কমিটি মঙ্গলবার তাদের পূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ এতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যার বিচার শুরু হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তদন্তকারীরা৷

জেনেভায় নিযুক্ত মিয়ানমারের নতুন রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন ‘একপেশে' বলে মন্তব্য করেছেন৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য