1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাখাইনে বিদ্রোহী হামলায় নিহত ৩

১২ এপ্রিল ২০১৯

মিয়ানমারের রাখাইনে পুলিশ ঘাঁটিতে হামলায় তিনজন নিহত ও সাতজন অপহৃত হয়েছেন৷ বৌদ্ধ বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে ঘটনার জন্য দায়ী করেছে সরকার৷

https://p.dw.com/p/3Gfk7
ছবি: picture-alliance/E. Htusan

মিয়ানমারের সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল নিউ লাইট'-এর বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, পশ্চিম রাখাইনের ম্রক-ইউ শহরের পুলিশ সদর দপ্তরে মঙ্গলবার রাতে হামলা চালায় প্রায় ২০০ বিদ্রোহী৷ তারা ‘রাখাইন' নৃতাত্বিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সদস্য৷

সামরিক অভিযানে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর গত এক বছর ধরে নিষ্ক্রিয় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা৷

সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইন সংখ্যালঘুরা সেখানে বেশ কিছু বড় হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে৷

এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ‘আরাকান আর্মি' দীর্ঘদিন ধরে রাখাইন অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসনের দাবি করে আসছে, যাঁরা রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের তুলনায় বেশি সশস্ত্র ও সংগঠিত৷

গত ৪ জানুয়ারি এক হামলায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত এবং নয়জন আহত হওয়ার পর আরাকান আর্মিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন' হিসাবে ঘোষণা করে সরকার৷

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পুলিশ ঘাঁটিতে হামলার পর চার নারী ও তিন শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে৷ সেখানে দুইজন পুলিশ সদস্য এবং তাদের একজনের স্ত্রী নিহত হয়েছেন৷ পাশাপাশি সাত পুলিশ সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন৷

হামলার পর পুলিশের সহায়তায় ম্রক-ইউ এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়৷ একটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে আরাকান আর্মির সদস্য সন্দেহে ২৩ জনকে আটকের কথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর তথ্য কর্মকর্তা৷

এদিকে হামলার পর সাতজন অপহরণের কথা মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয় জানালেও তা অস্বীকার করেছে আরাকান আর্মি৷ ‘‘পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মি পারিবারিক ডরমেটোরিতে হামলা করেছে এবং অপহরণ করেছে স্ত্রী-সন্তানদের, যাঁরা কোনোভাবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন,'' বলা হয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে৷

এর বিপরীতে আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইন থু খা বলছেন, তারা কেবল পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছেন৷ কোনো সাধারণ মানুষকে হত্যা কিংবা অপহরণ করেননি৷ আর সেখানে কোনো ডরমেটোরিও ছিল না৷

‘‘ওই এলাকায় প্রচুর অস্ত্রের মজুদ ছিল৷ ক্যাম্পের ভেতর থেকে গুলি চালানো হয়েছিল, এ কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ আর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অনেকেও নিহত হয়েছেন,'' থু খাকে এভাবে উদ্ধৃত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির গেরিলাদের মধ্যে সংঘাতের কারণে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ৷

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, তাদের কাছে ‘‘সাধারণ মানুষকে হত্যা, বাড়িঘর পোড়ানো, গণহারে গ্রেপ্তার ও গ্রামে গ্রামে অতর্কিত হামলার তথ্য রয়েছে৷''

এমবি/জেডএইচ (এপি, রয়টার্স)