1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৃত্যুর পথে ন্যাটো

৮ নভেম্বর ২০১৯

সামরিক জোট হিসেবে ন্যাটো এখন ‘ব্রেন ডেথ'  বলে মনে করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট৷ জার্মানি চ্যান্সেলর ও অন্যান্য নেতারা অবশ্য এই মূল্যায়নের সঙ্গে একমত নন৷ শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে বিতর্ক দানা বাঁধছে৷

https://p.dw.com/p/3SfjE
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ
ছবি: picture-alliance/abaca/E. Blondet

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ মনে করেন, সামরিক জোট হিসেবে ন্যাটো মরতে চলেছে৷ বর্তমানে ন্যাটোর ‘ব্রেন ডেথ' চলছে৷ তাঁর মতে, সদস্য দেশগুলির মধ্যে কৌশলগত সমন্বয়ের অভাব এবং ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে অ্যামেরিকার গতিপ্রকৃতি বোঝা যেভাবে কঠিন হয়ে পড়েছে, সে কারণেই এই রাষ্ট্রজোটের এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এই বাস্তবতা সম্পর্কে তিনি ইউরোপের দেশগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ ইকোনমিস্ট পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইউরোপের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলিও তুলে ধরেছেন৷ এ প্রসঙ্গে তিনি ইউরোপের নিজস্ব সমন্বয়ের উদ্যোগের প্রশংসা করেন৷ আসন্ন ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের এক মাস আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এই অবস্থান সম্পর্কে জোরালো প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷

ন্যাটোর অবস্থা সম্পর্কে এমানুয়েল মাক্রোঁর এমন নেতিবাচক মূল্যায়নের সঙ্গে একমত নন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তাঁর মতে, মাক্রোঁ বাড়াবাড়ি মাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন৷ ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনব্যার্গের সঙ্গে বার্লিনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে বেশ কড়া শব্দ বাছাই করেছেন৷ ন্যাটোর মধ্যে সহযোগিতাকে আমি মোটেই সেভাবে দেখি না৷''

ন্যাটোর মহাসচিবও মাক্রোঁর মূল্যায়নের সঙ্গে একমত নন৷ তাঁর মতে, অতীতের মতবিরোধ ভুলে সদস্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা নতুন মাত্রা ছুঁয়েছে৷ ইউরোপ একা নিজস্ব প্রতিরক্ষার দায়িত্ব বহন করতে পারবে না বলে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন৷

জার্মানি সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, মানবজাতির ইতিহাসে সম্ভবত এত গুরুত্বপূর্ণ জোট দেখা যায় নি৷ উল্লেখ্য, বার্লিন প্রাচীর পতনের ত্রিশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্প্রসারণ রুখতে ন্যাটোর সাফল্য তুলে ধরা হচ্ছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস ও পম্পেও ন্যাটোর প্রতি দুই দেশের অঙ্গীকার তুলে ধরেন৷

রাশিয়ায় ন্যাটোর অবস্থা সম্পর্কে মাক্রোঁর মূল্যায়নের পক্ষে সমর্থন দেখা যাচ্ছে৷ রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র ফেসবুক পাতায় মাক্রোঁর বক্তব্য একেবারে সঠিক হিসেবে তুলে ধরেছেন৷

ন্যাটোর মধ্যে সম্প্রতি বাস্তবিকই নানা মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে৷ গত জুলাই মাসে ব্রাসেলসে শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংকটের উল্লেখ করেন৷ বিশেষ করে সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষা খাতে যথেষ্ট ব্যয়ের অভাব নিয়ে তিনি শুরু থেকেই সোচ্চার রয়েছেন এবং সেই ব্যয়ের মাত্রা বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন৷ ন্যাটোর সদস্য দেশ তুরস্ক যেভাবে একতরফাভাবে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়াচ্ছে, সেই বিষয়টিও প্রবল অস্বস্তি সৃষ্টি করছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)