1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোদীর প্রতিহিংসার রাজনীতি?‌

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

নোট বাতিলের বিরোধিতা করছেন বলেই কি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট) প্রয়োগ করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?‌ অভিযোগ কিন্তু সেরকমই৷

https://p.dw.com/p/2V33l
Indien Narendra Modi in Neu-Delhi
ছবি: Reuters/A. Abidi

বিরোধীদের বরাবরের অভিযোগ, প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সেক্ষেত্রে প্রশাসনিক ক্ষমতার যথেচ্ছ অপব্যবহার করেন৷ রাজনৈতিক লড়াই পাশ কাটিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক বিরুদ্ধবাদীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কার্যত লেলিয়ে দেন৷ কিছুদিন আগেই সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তের সূত্রে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জিকে সমন পাঠায় সিবিআই৷ ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি মন্তব্য করেন, সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে নোট বাতিলবিরোধী আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না৷ কিন্তু সেই প্রচ্ছন্ন হুমকির তোয়াক্কা না করেই পশ্চিমবঙ্গের আরেক চিট ফান্ড সংস্থা ‘‌রোজ ভ্যালি’‌র আর্থিক অনিয়মের তদন্তের সূত্রে আরেক তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল'কে সমন পাঠিয়েছে সিবিআই৷

শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, দিল্লিতে আরেক মোদীবিরোধী রাজনীতিক, আম আদমি পার্টি (আপ)-এর নেতা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সমান তৎপর৷ দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের দপ্তরে একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ এবং সত্যেন্দ্র জৈনের মেয়ের একটি জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই৷ জৈনের বিরুদ্ধে ৭টি এফআইআর এবং দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়ার বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছে৷ ক্ষুব্ধ কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘‘‌তদন্তে ভয় পাই না৷ দিল্লি প্রশাসনের সমস্ত নিয়োগের তদন্ত করতে পারেন৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিল্পসংস্থার থেকে টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তারও তদন্ত হবে তো?‌’’

নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এই ঘুষ নেওয়া নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী৷ বারবার জবাব চেয়েছেন৷ কিন্তু এক্ষেত্রে অন্য কৌশল নিয়েছেন মোদী৷ রসিকতার ছলে পুরো বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ যেন অভিযোগগুলি আদতে অসার এবং গুরুত্ব দেওয়ার কোনো দরকারই নেই৷ অথচ সিবিআই তৎপর আরেক বিরোধী নেত্রী মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি ব্যাঙ্কে কত কোটি টাকা জমা করছে, তার নিখুঁত হিসেব জোগাড় করতে৷ একই অভিযোগ কিন্তু উঠেছে মোদীর নিজের দল বিজেপি'র বিরুদ্ধেও৷ বড় অঙ্কের নোট বাতিলের ঘোষণার দিনই ব্যাঙ্কে কোটি টাকার ওপর জমা দেওয়ায়, বা জমি কিনতে বহু কোটি খরচ করায়৷ কিন্তু সেই ব্যাপারে সরকারের কোনো হেলদোল নেই৷

হতে পারে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত তার নিজস্ব নিয়মেই এগোচ্ছে এবং প্রয়োজনমতো ডাক পড়ছে অভিযুক্তদের৷ কিন্তু যেভাবে সমস্ত বিরোধী দলের বিরুদ্ধেই সিবিআই’কে প্রয়োগ করছে মোদীর সরকার, তাতে অন্যরকম সন্দেহ হওয়াও নেহাত অযৌক্তিক নয়৷ সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনও দেশের প্রধান আদৌ এভাবে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন কিনা৷

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে নীচে মন্তব্যের ঘরে লিখুন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য