1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যমজ শিশু জন্মে রেকর্ডকাল চলছে

১৪ মার্চ ২০২১

বিশ্বে যেকোন সময়ের চেয়ে এখন বেশি যমজ শিশু জন্ম হচ্ছে৷ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িকী হিউম্যান রিপ্রোডাকশন এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে৷ যমজ শিশুর সংখ্যা নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা এটি৷

https://p.dw.com/p/3qcMx
জমজ শিশু জন্মে রেকর্ড৷
ছবি: Pavlo Gonchar/ZUMAPRESS/picture alliance

গবেষণা অনুযায়ী, প্রতি বছর পৃথিবীতে ১৬ লাখ যমজ শিশু জন্ম নেয়৷ পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি ৪০টি শিশু জন্মে একটি যমজের ঘটনা ঘটছে৷

গবেষণার জন্য ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের ১৬৫টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা৷ এছাড়া ১১২টি  দেশের ১৯৮০-১৯৮৫ সালের যমজ জন্মহারের উপাত্ত নিয়েছেন৷ ‘‘বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে শুরু করে যেকোন সময়ের চেয়ে তুলনামূলক ও বাস্তব সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে যমজের হার এখন বেশি এবং সম্ভবত এটা সর্বকালের মধ্যেই সর্বোচ্চ,’’ জানান গবেষক দলের প্রধান ক্রিশ্চিয়ান ম্যনদে৷

অবশ্য দুই সময়কালেই আফ্রিকা মহাদেশে সবচেয়ে বেশি যমজের তথ্য মিলেছে৷ সেখানকার জনগোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য অঞ্চলের মানুষের ‘জিনগত পার্থক্য' এর অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করেন ম্যনদে৷

গবেষণা অনুযায়ী সন্তান জন্মের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি যমজ জন্মহার বাড়ার অন্যতম কারণ৷ এছাড়াও নারীদের মধ্যে বেশি বয়সে সন্তান জন্ম দেয়ায় প্রবণতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়াও আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷

দরিদ্র দেশগুলোতে যমজ জন্মহার বেশি হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ম্যনদে৷ এইসব দেশে যমজ সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে শিশু মৃত্যুর হার বেশি থাকে৷ সেই সঙ্গে মায়েরাও গর্ভধারণকালে ও সন্তান জন্মের পরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভোগেন৷

গবেষকদের ইয়্যোরোন স্মিড্ঠ জানান, সাব-সাহারভুক্ত আফ্রিকায় অনেক যমজ ভাইবোনের একজন জন্মের প্রথম বছরেই মারা যায়৷ কিন্তু এই চিত্র উন্নত দেশে আলাদা৷ স্মিড্ঠ বলেন, ‘‘পশ্চিমা অনেক উন্নত দেশের জমজ হার এখন সাব-সাহার আফ্রিকার কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ কিন্তু বেঁচে থাকার সম্ভাবনায় (এই দুই অঞ্চলের মধ্যে) বিরাট পার্থক্য আছে৷’’

আঙ্কিতা মুখোপাধ্যায়/এফএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান