1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপাকে আফগান সরকার

৫ আগস্ট ২০১৮

কাতারে মার্কিন কর্মকর্তা এবং তালেবান সদস্যদের মধ্যে আলোচনা কি আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে? কিন্তু এটা ঠিক যে এই আলোচনা আফগান সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে অবনতি ঘটাবে৷

https://p.dw.com/p/32ZFo
ছবি: picture alliance/AP Photo/A. Khan

জুলাইতে কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলস আফগান তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন৷ আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল আফগানিস্তানে সংকটের অবসান ঘটিয়ে শান্তি স্থাপন৷ এই আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন এমন একজন তালেবান সদস্য সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, ‘‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে৷ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে৷'' তবে সেই আলোচনাকে শান্তি আলোচনা বলতে রাজি নন তিনি৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রে যে আলোচনা হবে সেই আলোচনা ঐ পথে যাবে বলে জানান তিনি৷

অন্যদিকে, আফগান সরকার বার বার তালিবানদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেও তারা ওয়াশিংটনে গিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷ যদিও যুক্তরাষ্ট্র বরাবর বলে আসছে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়টি সেখানকার জনগণের মতামতের উপরই নির্ভর করছে৷

আফগান সরকারের অবস্থান

তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে সবরকমের ছাড় দিতে প্রস্তুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি৷ এমনকি তাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাবও রেখেছেন৷ পাশাপাশি এটি কার্যকর করতে সংবিধানে পরিবর্তন আনার প্রস্তাবও এনেছেন৷ কিন্তু তালেবান ঈদের সময় তিনদিনের যুদ্ধবিরতি ছাড়া কোনো শর্তেই রাজি হয়নি৷ অথচ আফগান সরকার তাদের কাছে বার বার আর্জি জানাচ্ছে শান্তি প্রক্রিয়া আফগানিস্তানের নেতৃত্বেই হওয়া উচিত৷

সাবেক তালেবান সদস্য এবং কাবুলের প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদ মুজদাহ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘সম্প্রতি বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা কাবুল সফর করেছেন এবং তালেবানের সাবেক সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন৷ এর মধ্যে কয়েকটিতে উপস্থিত ছিলাম আমি৷ আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যাতে তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় আফগান সরকার কোনোরকম হস্তক্ষেপ না করে৷''

ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছেন৷ তাঁর ধারণা ছিল, এতে তালেবান জঙ্গিরা চাপের মুখে থাকবে৷ কিন্তু এরপরও আফগান অঞ্চলে তালেবানের আধিপত্য কমেনি৷

মুজদাহ বললেন, ‘‘আফগানিস্তানে কিছুটা হলেও সাফল্য অর্জন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে মার্কিন কূটনীতিকদের আশংকা, শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে ট্রাম্প কোনো ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নেবেন৷'' শান্তি আলোচনায় তালেবানের অন্যতম শর্ত হলো, আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়া৷ এবং এজন্য একটা সময় ঠিক করার প্রস্তাব দেবে তারা৷

মাসুদ সাইফুল্লাহ/এপিবি

প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷