1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইসরায়েল এবং গাজার

২১ মে ২০২১

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত দুটো থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। দুই পক্ষই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। 

https://p.dw.com/p/3thP8
গাজা
ছবি: Ibraheem Abu Mustafa/REUTERS

অবশেষে আশার আলো। ইসরায়েল প্রশাসন এবং হামাস দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু এবং হামাসের কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। বিশ্বের নেতারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। যদিও এই যুদ্ধবিরতি কতদিন থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কোনো কোনো মহল।

বুধবারও নেতানিয়াহু বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, আপাতত যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কোনো সম্ভাবনাই নেই। হামাসকে উচিত শিক্ষা দিয়ে তবেই ইসরায়েল আক্রমণ বন্ধ করবে। তবে ওই দিনই দ্বিতীয়বার যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নেতানিয়াহুর টেলিফোনে আলোচনা হয়। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনে সফর করেন। মিশর মধ্যস্থতা করে। সন্ধের পর নেতানিয়াহুর দফতর প্রথম যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করে। সেখানে বলা হয়, দুই পক্ষই একসঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।

হামাসের তরফে জানানো হয়, স্থানীয় সময় রাত দুটো থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। দুই পক্ষই একসঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু করবে। তবে সময় নিয়ে ইসরায়েল কিছু জানায়নি। উল্লেখ্য, এর আগে ইসরায়েল বলেছিল, হামাসকে প্রথমে আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। কয়েকঘণ্টা তা দেখার পর যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল সিদ্ধান্ত নেবে। এদিনের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে হামাস ফিলিস্তিনের জয় হিসেবেই দেখতে চাইছে। আবার ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা হামাসের যথেষ্ট ক্ষতি করতে পেরেছে।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও, রাত দুটোর আগে হামাস ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে বলে জানা গেছে। ইসরায়েলও পাল্টা আক্রমণ করেছে বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ।

যুদ্ধবিরতির পর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মহলে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণার ক্ষেত্রে মিশর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এবার মিশরের মধ্যস্থতায় দুইপক্ষ আলোচনায় বসবে কি না, সেটাই এখন দেখার।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)