1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকছে তারা?

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৪ ডিসেম্বর ২০১৫

‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ধরন এখন আর আগের মতো নেই৷ আগে মাদ্রাসায় পড়া বা অশিক্ষিত মানুষদের জঙ্গিদলের সদস্য হতে দেখা যেত৷ এখন দেখা যাচ্ছে, যুব সমাজের প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, শিক্ষিত একটি অংশ জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকছে৷ কিন্তু কেন?

https://p.dw.com/p/1HTMG
Bangladesch Proteste Jamaat-e-Islami
ছবি: Reuters

[No title]

‘‘রাজনৈতিক শূন্যতা বা সামাজিক সমস্যার কারণেই যুব সমাজের একটি অংশ জঙ্গিবাদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে৷ জোর করে বা চাপিয়ে দিয়ে জঙ্গিবাদ থেকে এদের নিবৃত্ত করা যাবে না৷ বরং খুঁজে বের করতে হবে এই শূন্যতা কোথায়? কেন শিক্ষিত যুবকদের একটি অংশ জঙ্গিবাদের দিকে চলে যাচ্ছে? অথচ সেদিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে না৷'' ডয়চে ভেলের কাছে এভাবে জঙ্গিবাদের কারণ বিশ্লেষণ করলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন৷

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মিরপুরে জঙ্গিদের একটি বিশাল আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়৷ গোয়েন্দা পুলিশ টানা ১৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সাতজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও হাতে তৈরি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ এই একই ধরনের গ্রেনেড পুরনো ঢাকার হোসেনী দালানে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালেও নিক্ষেপ করা হয়েছে৷ এর আগেও কামরাঙ্গীরচরে অভিযান চালিয়ে জেএমবির কাছ থেকে একই ধরনের গ্রেনেড ও বিস্ফোরক পাওয়া গেছে৷ তাদের কাছ থেকে ১৬টি গ্রেনেড ছাড়াও ট্রাংকভর্তি বিস্ফোরক ও প্রচুর জিহাদি বই পাওয়া যায়৷

বুধবার বিকেল ৪টায় অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রায় ১৪ ঘণ্টা চালানো অভিযান কার্যক্রম শেষ হয়েছে৷ এখন আলামতগুলোর একটা তালিকা তৈরি করা হচ্ছে৷ এগুলো সিআইডি ক্রাইম টিমকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে৷ রাত ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়৷ ঐ আস্তানায় যে পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে আরও ২০০টি গ্রেনেড তৈরি করা যেত৷''

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘‘বাংলাদেশে আইএস বা আল-কায়েদা নেই এটা বলা যাবে না৷ তাদের মতাদর্শের মানুষ অবশ্যই এখানে আছে৷ এখানে তো আর সিরিয়া থেকে লোক আসবে না৷ তাদের আদর্শ নিয়েই এখানকার সন্ত্রাসীরা কার্যক্রম চালাবে৷ তবে বাংলাদেশে এখনও তাদের কার্যক্রম প্রাথমিক পর্যায়ে আছে৷ আগে কিন্তু এখানে কোনো ধর্মীয় বিভাজন ছিল না৷ অথচ এখন দেখা যাচ্ছে এ দেশেও শিয়া-সুন্নি বিরোধ তৈরি করা হচ্ছে৷ ফলে হতাশাগ্রস্ত যুবকদের পথে আনতে হবে৷ কী করলে তাদের পথে আনা যায়, সেটার চিন্তা করার এখনই সময়৷''

এদিকে বড়দিনের ঠিক আগেই ঢাকা ও সিলেটে জঙ্গিদের নাম করে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতা, গির্জার বিশপ ও যাজকদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷ তাদের কছে ‘আইজিএমবি' নাম করে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ পাঠিয়ে এ সব হুমকি দেয়া হয়৷ যাঁদের হুমকি দেয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন – বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও, রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের গ্লোরিয়া থিওলজিক্যাল সেমিনারের একাডেমিক ডিন ও যাজক জেমস জগদীশ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পত্রিকা মাসিক সমবার্তার নির্বাহী সম্পাদক এলড্রিক বিশ্বাস, রাজধানীর রামপুরায় অবস্থিত ব্রাদার সেমিনারির রেক্টর বিনয় গোমেজ, সিলেট অঞ্চলের প্রদেশপাল বিশপ বিজয় এনডি ক্রুশ ও শ্রীমঙ্গলের ক্যাথলিক মিশনের পালপুরোহিত সুব্রত বনিফাস টলেনটিনো৷

খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে গণভবনে অবস্থান করছিলেন তিনি৷ সেই সময় তাঁর মোবাইল ফোনে একটি ম্যাসেজ আসে৷ তাতে ‘আইজেএমবি'-র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে জামান মজুমদার নামের এক ব্যক্তি লিখেছে, ‘তোমার শেষ স্বপ্ন পূরণ করো, কারণ তুমি এখন জীবনসায়াহ্নে৷ খুব শিগগিরই আমরা তোমাকে হত্যা করব৷' এ ঘটনার পর নির্মল রোজারিও তেজগাঁও থানায় বুধবার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন৷

প্রিয় পাঠক, আপনার কী মনে হয়, কেন শিক্ষিত যুবকদের একটি অংশ জঙ্গিবাদের দিকে চলে যাচ্ছে? প্রতিক্রিয়া জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান