1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুটিন-এর্দোয়ান বৈঠক

২৪ জানুয়ারি ২০১৯

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করে রাশিয়া৷ আর তুরস্ক আসাদের বিরোধীদের সমর্থন দিয়ে থাকে৷ এই অবস্থায় বুধবার দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3C5Vm
ছবি: Reuters/A. Nemenov

ক্রেমলিনে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকের শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান একে অপরকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেন৷

এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সিরিয়ায় অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ আরো ঘনিষ্ঠ করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতমাসে হঠাৎ করে সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সৈন্যকে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো৷

রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন৷

আর তুরস্ক ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী সিরিয়ার উত্তর-পূর্বে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় ৩২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করতে চাইছে৷ কিন্তু সেখানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরীয় কুর্দিরা তুরস্কের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে৷ কারণ, এর ফলে তাঁরা তুরস্কের হামলার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে৷

রাশিয়াও চাইছে না যে, সিরিয়ার কোনো অংশের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তুরস্কের হাতে চলে যাক৷ তাই তারা অতীতে একে অপরের বিরোধী পক্ষে থাকা আসাদ সরকার ও কুর্দিদের মধ্যে আলোচনাকে সমর্থন করছে৷ রাশিয়া চাইছে, এর মাধ্যমে সিরিয়ায় আসাদ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আরো শক্তিশালী হোক৷

বুধবার পুটিন আর এর্দোয়ানের মধ্যে বৈঠকের বড় অংশ জুড়ে ছিল ‘নিরাপদ অঞ্চল’৷ সংবাদ সম্মেলনে এর্দোয়ান দাবি করেন, এই জোন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে কোনো মতানৈক্য নেই৷

এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন জানিয়েছেন, সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে কিছু দিনের মধ্যে তাঁর দেশ, তুরস্ক ও ইরানের মধ্যে রাশিয়াতে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ইরানে এই তিন দেশের নেতারা সিরিয়া বিষয়ে আলোচনা করেন৷

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তুরস্কের হামলায় রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান ভূপতিত হওয়ার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল৷ কিন্তু তারপর থেকে বেশ দ্রুতগতিতে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হতে থাকে৷ তুরস্ক সম্প্রতি রাশিয়া থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছে৷ আর রাশিয়া তুরস্কের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)