1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২৫, আহত ৮৭

২৮ নভেম্বর ২০০৯

রাশিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৮৭ জন আহত হয়েছে৷ ট্রেনটি রাজধানী মস্কো থেকে সেইন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার সময় নভগোরোড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে৷

https://p.dw.com/p/KjpK
২০০৭ সালের দুর্ঘটনার শিকার রুশ ট্রেন (ফাইল ছবি)ছবি: AP

স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় নেভস্কি এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়৷ এসময় ট্রেনটির ১৪টি কামরায় মোট ৬৬৩ জন যাত্রী ছিল৷ দুর্ঘটনার শিকার যাত্রীদের উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ৷ রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইটার-টাস এই খবর দিয়েছে৷ তবে শুক্রবারের ট্রেন দুর্ঘটনাকে আত্মঘাতী হামলা বলে মনে করছে দেশটির সরকারি রেল কর্তৃপক্ষ৷

সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, দুর্ঘটনাস্থলে প্রায় তিন ফুট প্রশস্ত গর্ত দেখা গেছে৷ এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীরাও বলছে যে, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার আগে তারা 'বুম' করে একটি বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়েছে৷ যার ফলে শুক্রবারের এই ট্রেন দুর্ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ৷ সে অনুযায়ী ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ৷

জরুরি সরকারি পদক্ষেপ

BdT Russland Moskau In Deutschland gebauter Hochgeschwindigkeitszug
রাশিয়ার দ্রুতগামী ট্রেন 'সাপসান'ছবি: AP

রুশ রাষ্ট্রপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি প্রধান আলেক্সান্ডার বর্টনিকভ এবং কৌঁসুলি ইয়ুরি চাইকাকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন৷ এছাড়া রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক মন্ত্রী সের্গেই শোইগু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন৷ শনিবার সকালে তাঁদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে৷

মার্কিন শোক বার্তা

রাশিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন৷ হোয়াইট হাউস মুখপাত্র রবার্ট গিবস এক বিবৃতিতে বলেন, দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায় যুক্তরাষ্ট্র৷ এছাড়া আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি৷ উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের আগস্ট মাসেও একই ট্রেন লাইনে এক সন্ত্রাসী হামলায় ৬০ জন যাত্রী আহত হয়েছিল৷ চেচেন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এসব হামলার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী