1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোববারের মধ্যে ইইউ-ব্রিটেন চূড়ান্ত বোঝাপড়া

১০ ডিসেম্বর ২০২০

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি অথবা চুক্তিহীন ব্রেক্সিট – রোববারের মধ্যে চূড়ান্ত ফয়সালার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট৷ দুই পক্ষই নিজস্ব অবস্থানে অটল রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3mVnx
 জনসন ও ফন ডেয়ার লাইয়েন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনছবি: Aaron Chown/AFP

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে বোঝাপড়া এখনো অধরা রয়ে গেছে৷ বুধবার সন্ধ্যায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের নৈশভোজেও মতপার্থক্য কাটানো সম্ভব হয় নি৷ তবে একেবারে শেষ মুহূর্তেও আশা ছাড়তে প্রস্তুত নয় দুই পক্ষ৷ তাই রোববার পর্যন্ত আলোচনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন দুই নেতা৷ এই সময়কালের মধ্যে হয় বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে বোঝাপড়া হবে, অথবা ১লা জানুয়ারি চুক্তি ছাড়াই পাকাপাকিভাবে ইইউ ত্যাগ করবে ব্রিটেন৷

বুধবারের ‘খোলাখুলি' আলোচনায় কোনো সমাধানসূত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ প্রকাশ্যে দুই পক্ষই যে যার অবস্থানে অটল রয়েছে৷ ফন ডেয়ার লাইয়েন সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন৷ জনসন চুক্তির জন্য চেষ্টায় কোনো ত্রুটি না রাখার উপর জোর দেন৷ তবে একাধিক ইইউ নেতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে ইইউ ত্যাগ করার পরেও সদস্য থাকার সুবিধা পেতে হলে ব্রিটেনকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে৷

বুধবার সকালে বরিস জনসন বলেছিলেন, যে কোনো প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ইইউ-র চাপে ব্রিটেনের সার্বভৌমত্ব ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়৷ একমাত্র ইইউ সেই দাবি ত্যাগ করলে ভালো চুক্তি হওয়া সম্ভব৷ একই দিনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷ জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষে ভাষণে তিনি বলেন, ব্রিটেনের স্বার্থে ইইউ-র অভ্যন্তরীণ বাজারের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে কোনো ঝুঁকি নেওয়া হবে না৷ অর্থাৎ ৪৫ কোটি ক্রেতা ও গ্রাহকের এই বাজারের নাগাল পেতে হলে ইইউ-র শ্রম, সামাজিক ও পরিবেশগত মানদণ্ড মেনে চলতে হবে, বলেন ম্যার্কেল৷ তবে তিনিও দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আশা ত্যাগ করেন নি৷

এমন অনিশ্চয়তার ফলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ব্রাসেলসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা সম্ভব হচ্ছে না৷ ফন ডেয়ার লাইয়েন ইইউ নেতাদের বরিস জনসনের সঙ্গে আলোচনা সম্পর্কে জানাবেন৷ রবিবারের মধ্যে ঐকমত্য সম্ভব হলে ইইউ-র বিভিন্ন পর্যায়ে সেই চুক্তি অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে৷ বিশেষ করে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট চুক্তির খসড়া ভালো করে খতিয়ে দেখে তবেই বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে৷

ইইউ ত্যাগ করার সুবিধা-অসুবিধা এখন থেকেই টের পেতে শুরু করেছে ব্রিটেন৷ বুধবার সিঙ্গাপুরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ব্রিটেন৷ ইইউ-সিঙ্গাপুর বাণিজ্য চুক্তি নকল করেই দুই পক্ষ ঐকমত্যে এসেছে৷ অন্যদিকে বিমান চলাচল শিল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র মধ্যে যে বিরোধ চলছে, তার আওতায় দুই পক্ষ পরস্পরের উপর শাস্তিমূলক শুল্ক চাপাচ্ছে৷ ইইউ ত্যাগ করার পর ব্রিটেন সেই অধিকার হারাবে বলে ওয়াশিংটন সে দেশকে সতর্ক করে দিয়েছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)