1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রাচীন যুগে নারী

১০ মার্চ ২০১২

কলোসিয়াম, মানে রোমক আমলের সেই ক্রীড়াপ্রাঙ্গণ, যেখানে মল্লরা জান বাজি রেখে মল্লযুদ্ধ করত, হিংস্র পশুদের সঙ্গে যুঝত৷ সেই রক্তে ভেজা মাটির সঙ্গে মহিলাদের কি সম্পর্ক থাকতে পারে?

https://p.dw.com/p/14ITu
REFILE - CLARIFYING CAPTION The ancient Colosseum is seen during an heavy snowfalls early morning in Rome February 4, 2012. REUTERS/Gabriele Forzano (ITALY - Tags: ENVIRONMENT TPX IMAGES OF THE DAY)
Schneechaos in Rom Italienছবি: Reuters

খ্রীস্টের জন্মের ৭২ সাল পরে রোমক সাম্রাজ্যের বৃহত্তম এই স্থাপনার কাজ শুরু হয়৷ গোলাকৃতি একটি বহুতল অ্যাম্ফিথিয়েটার৷ পঞ্চাশ হাজার মানুষ বসার মতো জায়গা৷ এখানেই সেই সুবিখ্যাত গ্ল্যাডিয়েটরদের মল্লযুদ্ধ হতো - দুই মল্লের একজনের প্রাণ না যাওয়া পর্যন্ত৷ আবার সাজানো স্থলযুদ্ধ, নৌযুদ্ধ, পশু শিকার, এমনকি পুরাণকথার উপর নির্ভর করে রচিত নাটকের অভিনয়, এ' সবই হতো৷

এই সব বিভীষণ রকম পুরুষালি ব্যাপারের মধ্যে মহিলারা আসেন কি করে? এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সেই উত্তরটাই দেবার চেষ্টা করেছেন কলোসিয়াম মিউজিয়ামের কর্তৃপক্ষ৷ তাদের বক্তব্য: কলোসিয়ামে যেমন একদিকে জলহস্তি কি জিরাফের মতো উদ্ভূটে জীব দেখিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করা হতো, অন্যদিকে তেমনই বামনদের খেলা কি মহিলা গ্ল্যাডিয়েটরদের যুদ্ধও দেখানো হতো, তবে ক্কচিৎ-কদাচিৎ৷

Flash-Galerie Kirk Douglas Spartacus
গ্ল্যাডিয়েটরদের প্রেমে পড়তেন নারীরাছবি: picture alliance/dpa

আসল বিপদ ছিল এই যে, এ'যুগের মহিলারা যেমন ডেভিড বেকহ্যাম কি ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্দো'র মতো ফুটবলারদের ভক্ত হয়ে পড়েন, সেকালের রোমক মহিলারা তেমনিভাবেই নামকরা গ্ল্যাডিয়েটরদের প্রেমে পড়তেন, কখনে-সখনো সেই প্রেমিকের সঙ্গে গৃহত্যাগও করতেন৷ রোমান আমলের ব্যাঙ্গাত্মক কবি জুভেনাল তাই ঠাট্টা করে লিখেছিলেন: ‘‘মেয়েরা তো লোহাই ভালোবাসে৷''

জুভেনালই লিখেছেন সে কাহিনি: এক রোমান সেনেটর'এর স্ত্রী এপিয়া কি'ভাবে স্বামীপুত্র ছেড়ে এক গ্ল্যাডিয়েটরের সঙ্গে মিশরে পালিয়ে গিয়েছিলেন, যদিও সেই বীর মল্লের ‘‘একটা হাত ভাঙা, নাকের ওপরে একটা বিরাট ফোলা এবং ঘোলাটে চোখ''৷ সেনেটর আর কি বড় কথা, খোদ রোমান সম্রাট মার্কুস অরেলিয়াস'এর মহিষী ফাউস্তিনা'র নাকি একাধিক গ্ল্যাডিয়েটরের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে ছিল৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ