1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা চুক্তি নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ

১৭ জানুয়ারি ২০১৮

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে পাশ কাটিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসিচব৷ ঐ চুক্তি অনুযায়ী, দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে মিয়ানমার৷

https://p.dw.com/p/2qyNp
ছবি: imago/Kyodo News

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদরদপ্তরে আন্তোনিও গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ইউএনএইচসিআরকে এই চুক্তির সময় সাথে রাখাটা জরুরি ছিল৷’’ চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শেষে এই ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তি সই হয়৷ গুতেরেস মহাসচিব হওয়ার আগে ১০ বছর জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হাই কমিশনার ছিলেন৷

২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে৷ আর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে৷ এছাড়া, আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা ২০১৬ সালের অক্টোবরের আগে থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করছে৷ এই চার লাখকে এই চুক্তির অধীনে ফেরত নেয়া হবে না৷ অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে৷

গুতেরেস বলেন, ‘‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে রোহিঙ্গারা যেন নিজেদের বাড়িতে নিরাপদে ফিরে যেতে পারে, তাদের যেন জোর করে পাঠানো না হয় এবং মিয়ানমারে ফিরে যেন শরণার্থী শিবিরে থাকতে না হয়৷’’ সংবাদ সম্মেলনটি মূলত ছিল ২০১৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে, সে ব্যাপারে৷ সেখানে সাংবাদিকদের গুতেরেস বলেন, ‘‘বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে নিয়ে গিয়ে মিয়ানমারের শরণার্থী শিবিরে যদি রোহিঙ্গাদের রাখা হয়, সেটা হবে খুব খারাপ ব্যাপার৷’’

গত বছরের ডিসেম্বরে রাখাইনে সহিংসতার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয় জাতিসংঘে, পাশাপাশি মিয়ানমারে বিশেষ দূত নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়৷ খুব শিগগিরই সেই নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানান জাতিসংঘ মহাসচিব৷

রাখাইনে উত্তেজনা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশের গুলিতে সাত বিক্ষোভকারী নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে৷ মঙ্গলবার রাতে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলীয় মারাউক ইউ শহরে আরাকান রাজ্যের পতন দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিল৷ রাখাইন রাজ্য সরকারের সচিব টিন মায়ুং সউয়ি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘‘আরাকান পতন দিবসের বার্ষিক স্মরণোৎসব শেষ হওয়ার পর প্রায় চার হাজার মানুষ সরকারি একটি ভবন ঘিরে ফেলে৷ স্মরণোৎসবের সংগঠকরা তাদের আয়োজনের বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো অনুমতিও নেয়নি৷ জনতাকে হটাতে প্রথমে রাবার বুলেট ব্যবহার করে পুলিশ৷ কিন্তু তারা সরে না যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা কর্মীরা গুলি করতে বাধ্য হন৷ কিছু লোক পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়৷''

রাখাইনের বাসিন্দারা আরাকানি হিসেবেও পরিচিত৷ মিয়ানমারের সরকারিভাবে স্বীকৃত ১৩৫টি নৃগোষ্ঠীর মধ্যে আরাকানিরা অন্যতম৷ ১৭৮৪ সালে বার্মা রাজ্যের কাছে পরাজিত হওয়ার মাধ্যমে আরাকানের পতন হয়৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)