1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডয়চে ভেলের মুখোমুখি সি আর আবরার

রেশমী নন্দী
১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সি আর আবরার৷ দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যক্ষভাবে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছেন তিনি৷ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সাথে কথা বলে ডয়চে ভেলে৷

https://p.dw.com/p/2pVVz
রোহিঙ্গা শিশু
ছবি: Reuters/S. Vera

সি আর আবরার রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিচার্স ইউনিটের (রামরু) প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক৷ এছাড়া মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক গণ-আদালতে রাখাইনে গণহত্যা চালানোর দায়ে রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন তিনি৷

ডয়চে ভেলে: সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কী ভাবছেন?

সি আর আবরার: আসলে এটা কিন্তু সমঝোতা স্মারকও না৷ এটাকে বলা হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক ব্যবস্থা৷ আমি ঠিক জানি না এর আগে কখনো দু'দেশের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক ব্যবস্থা স্বাক্ষরিত হয়েছিল কিনা৷ তার মানে হচ্ছে এটা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি তো নয়ই, সমঝোতা স্মারকও নয়৷ এই ব্যবস্থার অধীনে যেভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি যেভাবে এসেছে, সেটা আমাদের কাঙ্খিত ভাবনা থেকে অনেক কম৷ তাঁদের নেয়া হবে, কবে নেয়া হবে, কী পরিস্থিতিতে এঁদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে সমস্তটাই কিন্তু নির্ভর করছে মিয়ানমার সরকারের উপর৷ কাজেই সেদিক থেকে আমরা খুব একটা আশার আলো দেখছি না...৷ বাংলাদেশে এখন যে দশ লক্ষের মতো রোহিঙ্গা আছেন, তাঁরা কী করে মর্যাদার সাথে স্বেচ্ছায় ঐ দেশে ফিরে যাবে, তা আমরা জানি না৷

‘সরকারের এ সিদ্ধান্ত আমাদেরও হতবাক করেছে’

এ সমঝোতা প্রক্রিয়ায় অন্য কোনো দেশের উপস্থিতির অভাবকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

এমন সময়ে এ ব্যবস্থা স্বাক্ষর করা হলো, যখন বার্মার উপরে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহতভাবে বাড়ছিল৷ এর আন্তর্জাতিকীকরণের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজও বলেছিল, সরকারও স্বীকার করেছিল যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা খুব একটা ফলপ্রসু হচ্ছে না৷....অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে সরকার এ থেকে সরে এসেছে এবং এ স্বাক্ষরের মাধ্যমে তারা দ্বিপাক্ষিকতার ওপরেই জোর দিচ্ছে৷ আমার ধারণা, সেটা খুব একটা মঙ্গলজনক কিছু হবে না৷  কারণ অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে যদি এটা বিবেচনা করি, তাহলে মিয়ানমার এটাকে কালক্ষেপণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তারা বোঝাতে চাইবে যে আমরা দ্বিপাক্ষিকভাবেই এটা সমাধান করছি, সুতরাং এতে অন্য কারো সম্পৃক্ত হবার কারণ নেই৷ ইতিমধ্যেই চীনের কাছ থেকে আমরা শুনেছি যে এর আন্তর্জাতিকীকরণের আর প্রয়োজন নেই, কারণ দু'দেশ সম্মত হয়েছে৷ সে পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না যে কেন বাংলাদেশ এমন একটা ব্যবস্থার অধীনে গেল, যে ব্যবস্থায় তার নিজের যা কিছু নির্দিষ্ট শর্ত ছিল – আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রত্যাবসান সম্পন্ন করা, মর্যাদার সাথে তাঁরা যেন ফিরে যেতে পারে সে ধরনের পরিস্থিতি আরাকান রাজ্যে সৃষ্টি করা – এগুলো কোনো কিছুই কিন্তু এর মধ্যে নেই৷ সর্বোপরি ফিরিয়ে নেয়ার যে প্রক্রিয়া পুরোটাই হলো দলিল-দস্তাবেজের উপর ভিত্তি করে নেয়া হবে৷ যে জনগোষ্ঠি নিগ্রহ, অত্যাচার, গণহত্যা থেকে পালিয়ে এসেছে তাদের কাছে দলিল-দস্তাবেজ থাকবে এটা একেবারেই সঠিক একটা ভাবনা না৷ এ মাপকাঠিতেও এ সব শরণার্থি দেশে ফিরতে পারবেন কিনা এ নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে৷

বাংলাদেশ সরকারের এই যে নমনীয় মনোভাব, আপনি যেমনটা বললেন যে আন্তর্জাতিক মহলে একটা বিশেষ বার্তা দেবে, তাহলে এই পদক্ষেপ নেয়ার পেছনে বাংলাদেশ সরকারের কী যুক্তি থাকতে পারে?

এ ব্যাপারে সরকারকে সাহায্য করতে এবং ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি৷ তবে সরকারের এ সিদ্ধান্ত আমাদেরও হতবাক করেছে৷ এ পেছনের কারণ সঠিক না জানলেও বাইরের দু-একটি শক্তির চাপ এতে আছে বলে মনে করা হচ্ছে, যারা দু'দেশকেই বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলেছে৷ এ ধরনের ইঙ্গিত বিভিন্ন মহল থেকে দেয়া হচ্ছে, যার মধ্যে কিছুটা সত্যতা থাকলেও থাকতে পারে৷

যেহেতু পুরো বিষয়টি বেশ অস্পষ্ট, ধরে নেয়া যায় যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি আপাতত বাংলাদেশেই অবস্থান করছে৷ সেক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের পুর্নবাসিত করতে ঠেঙার চরকে উপযোগী করে তোলার বিষয়ে আপনার অভিমত কী?

এখানেই তো সমস্যা৷ একদিকে আমরা বলছি তাঁদের নিজ দেশে পাঠানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই৷ আবার সেই একই সময়ে আমরা এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করছি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, এমনকি মিয়ানমারের কাছেও এ বার্তা যাবে যে বাংলাদেশ ধরেই নিয়েছে রোহিঙ্গাদের আর ফেরত পাঠানো যাবে না এবং সেজন্যই এতো হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে তারা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করছে৷ আমরা এখন একটা সময়ে ছিলাম যেখানে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছিল৷ সেই সময়টাতে কেন আমরা এই বিকল্প ব্যবস্থার কথা এত ঢালাও করে বলবো বা এ ধরনের ব্যবস্থা কেন নিতে যাব? অতীতে কক্সবাজার থেকে উখিয়ার ঐ সব জায়গায় শরণার্থিদের আমরা মোটামুটি ভালোভাবেই রাখতে পেরেছি, যদিও সংখ্যাটা অনেক ছিল৷ তবু সে ধরনের বা আরেকটু বড় পরিসরে আরো বেশি ক্যাম্প করে তাঁদের অস্থায়ীভাবে সেখানে রাখা যেতে পারত৷ তাহলে কী কারণে এমন একটা চর, যেটা জোয়ারের সময় অনেকাংশ পানির নীচে চলে যায়, যেখানে ডাকাতরা খুব তৎপর, জীবিকার কোনো সুযোগ যেখানে নেই বললেই চলে, এ ধরনের জায়গার বিষয়ে সরকার কেন ভাবল, সেটা তারাই বলতে পারবে৷ তবে এ সংক্রান্ত বেশি তথ্য আমাদের নেই৷ ফলে সরকার কী বিবেচনায় এটা করছে, সেগুলো কতটা যৌক্তিক, তা আমরা জানি না৷

মিয়ানমারের পক্ষ থেকে একবার বলা হয়েছিল যে যদিও তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে, তবুও রাখাইনে সহসাই শান্তি ফিরে আসবে এমনটা নাও হতে পারে৷

অবশ্যই এটা তো আমাদের বুঝতে হবে যে এই যে জনগোষ্ঠি এখানে এসেছে, এটা একদিনের ঘটনা না৷ ঐ এলাকাকে রোহিঙ্গাশূন্য করার সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ এটি৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও এটা পরিষ্কার যে এটা ‘জেনোসাইড', যার পরিকল্পনা তারা বহু আগেই করেছিল৷ এবং তারই সর্বশেষ অধ্যায় আমরা এখন দেখছি৷ বার্মিজ জেনারেল পরিষ্কারভাবে বলেছেন, যেটা হিটলারও বলেছিলেন যে এটা ‘ফাইনাল সলিউশান'৷ সে কারণেই তারা একদিকে বাংলাদেশের সাথে এ ধরনের ব্যবস্থাতে স্বাক্ষর করছে, অন্যদিকে এই রোহিঙ্গারা যাতে সেখানে ফেরত না যান সেজন্যে প্রচারকার্য চালাচ্ছে৷ তো সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ধরেই নিতে পারি যে মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে মোটেই আগ্রহী নয় এবং এই স্বাক্ষর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে ধুলো দেয়ার একটা প্রচেষ্টা৷

আপনি অনেকদিন ধরেই এ ইস্যুতে কাজ করছেন৷ আপনি যদি আমাদের জানান যে রোহিঙ্গারা বিষয়টা নিয়ে ঠিক কী ভাবছে...

তাঁরা সাধারণত বলে থাকেন যে, তাঁরা বাংলাদেশে থেকে যেতে আসেননি৷ যে দেশের নাগরিক তাঁরা ছিলেন, সে দেশে অন্যায়ভাবে তাঁদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছে৷ যদি তাঁদের ফেরত নেয়া হয়, নাগরিকত্ব যদি তাঁদের ফিরিয়ে দেয়া হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি এর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যেমন মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সেখানে যদি প্রবেশাধিকার থাকে, তাঁদের যদি খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা – এ সব দেয়া হয়, তাহলে অবশ্যই তাঁরা আবার ঐ দেশে ফিরে যাবে৷ রোহিঙ্গা পরিচয় তাঁদের জন্য সবচেয়ে বড় পরিচয়৷ এগুলো তাঁরা পরিষ্কারভাবে বলেছেন৷ সেই সাথে তাঁরা এটাও বলেছেন যে, হয়ত এর জন্য সময় লাগবে এবং যতদিন এ সব না হবে, ততদিন তাঁদের ফেরত পাঠানোর যে কোনো ধরনের প্রয়াস –সেটা যাদের পক্ষ থেকেই হোক না কেন – তা আদতে আবারো তাঁদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হবে৷

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কী ধরনের পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

আমি এটা জোর গলায় বলবো যে, অবশ্যই মিয়ানমার এঁদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সততা দেখাচ্ছে না৷ এবং এর বিকল্প হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে দেশটির উপর চাপ প্রয়োগ করা৷ প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতিসংঘ এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে৷ এখানে যে পাঁচটি রাষ্ট্রের উপর দায়িত্ব রয়েছে, তারা সে দায়িত্ব পালন করার বদলে নিজ স্বার্থ রক্ষাকেই মুখ্য বিবেচনা করেছে৷ এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের মাধ্যমে শান্তি ফিরে আসবে বলে আমরা মনে করি না৷ তবে এটাও ঠিক যে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা স্পষ্টভাষায় নিজেদের কথা বলেছেন এবং বাস্তবতার নিরিখে যে বক্তব্য তাঁদের রাখার কথা, তা তাঁরা করছেন৷ কাজেই এই প্রেক্ষিতে যে সমস্ত দেশ মনে করে মিয়ানমার গণহত্যা চালাচ্ছে, তাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে৷ এটা বহুপাক্ষিক বা দ্বিপাক্ষিকভাবে হতে পারে৷ যেমন জেনারেলদের বাইরে যদি সম্পদ থাকে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা, তাঁদের বা অন্য কর্মকর্তাদের ‘ট্রাভেল ব্যান' করা, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ইত্যাদি৷ অনেকেই বলে থাকেন বার্মার ক্ষেত্রে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কাজ করেনি৷ অতীতের সাথে বর্তমান বার্মার পার্থক্য আছে৷ বিশ্ব অর্থনীতির সাথে দেশটি এখন অনেকটাই সংযুক্ত৷ কাজেই এ সব করা হলে আমার ধারণা কিছুটা হলেও ফল আসবে৷ এবং সেদিকেই আমাদের সবার ধাবিত হওয়া দরকার৷ এর মুখ্য ভূমিকা বাংলাদেশকেই নিতে হবে, কোনোরকম দ্বিচারিতা ছাড়াই৷ অন্যদিক থেকে বিশ্ব নাগরিক সমাজেরও এখানে ভূমিকা রয়েছে, যাতে যে জনমত সৃষ্টি হয়েছে সেটা অব্যাহত থাকে৷

আচ্ছা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বা বাংলাদেশের জনগোষ্ঠির সাথে মিশে যাওয়ার প্রবণতা বা অন্য কোনো অবৈধ তৎপরতা কি আপনাদের চোখে পড়েছে?

প্রথমদিন থেকেই এ সব আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাদের অপরাধী চক্র বা ইসলামিক স্টেট (আইএস) এজেন্ট ইত্যাদি নামে চিহ্নিত করার চেষ্টা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক৷ কিন্তু এর জন্য যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি৷ রোহিঙ্গারা নিঃসহায়৷ জীবনরক্ষার তাগিদে তাঁরা এ দেশে এসেছেন৷ তাঁদের এভাবে চিত্রিত করা দুরভিসন্ধিমূলক বলে মনে হয় আমার কাছে৷ তবে এটা ঠিক যে তাঁদের ন্যূনতম দেখভাল যদি না করা হয়, তাহলে সমূহ সম্ভাবনা আছে যে তাদের বিভিন্ন মহল ব্যবহার করবে৷ সেটা রাষ্ট্রপক্ষ বা রাষ্ট্রদ্রোহী যে কেউই হতে পারেন৷ তাঁরা মাদক বা অবৈধ অস্ত্র বা জঙ্গিবাদ – এমন যে কোনো কিছুর সাথেই জড়িয়ে পড়তে পারেন৷ না হওয়াটাই তো অস্বাভাবিক৷ কারণ যে শিশু চোখের সামনে নিজের বাবাকে খুন হতে দেখেছে, মা বা বোনকে ধর্ষিত হতে দেখেছে, সে তো ‘ট্রমাটাইজড'৷ তাদের জন্য আমরা যদি কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা না করি, ন্যূনতম সুযোগ যদি না দেই, তাহলে তারাই তো ‘প্রাইম টার্গেট'৷ আর এ সবের জন্য দায়ী থাকবো আমরা, বিশ্ববাসীরা, যাঁরা তাঁদের চরম এ বিপদের সময় সহযোগিতা করতে পারছি না৷ সেজন্যই এটা কেবল বাংলাদেশের দায়িত্ব না, এটা আন্তর্জাতিক দায়িত্ব৷ এত বড় জনগোষ্ঠির একটা ক্ষুদ্র অংশও যদি অপরাধের সাথে জড়িয়ে যায়, তার ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে৷ অন্তত সে কারণে হলেও এ সমস্যার আশু এবং টেকসই সমাধান প্রয়োজন৷

আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য