1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি-ইরান সংঘাত

৭ নভেম্বর ২০১৭

সৌদি আরব সফরে এসে লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে৷ সৌদি আরব জানিয়েছে, লেবানন কার্যত সে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে৷

https://p.dw.com/p/2n9qQ
সৌদি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় হারিরি
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/Lebanese Official Government/D. Nohra

গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সৌদি আরব ও ইরানের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা নতুন বিষয় নয়৷ বিশেষ করে যেখানেই শিয়া-সুন্নি সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে এই উত্তেজনা আরও বেশি করে লক্ষ্য করা যায়৷ কিন্তু এবার লেবাননকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার লড়াই নতুন ও বিপজ্জনক মাত্রা পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বহু জাতি-ধর্ম-সম্প্রদায়ের ছোট এই দেশে ক্ষমতাকেন্দ্রে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভারসাম্যের চেষ্টা চালানো হয়ে থাকে৷ সেই বোঝাপড়া আবার হুমকির মুখে৷

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি সৌদি আরব সফরে এসে শনিবার পদত্যাগের ঘোষণা করেন৷ তাঁর আশঙ্কা, দেশে তাঁর প্রাণ যেতে পারে, ঠিক যেমনটা তাঁর বাবা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রফিক আল হারিরির ক্ষেত্রে ঘটেছিল৷ এই পরিস্থিতির জন্য তিনি হেজবোল্লাহ গোষ্ঠী ও তাদের মদতদাতা ইরানকে দায়ী করেন৷ উল্লেখ্য, দেশ ছাড়ার ঠিক আগে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই-এর শীর্ষ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন৷

এবার সৌদি আরব জানিয়েছে, লেবানন সে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে বিবেচনা করা হবে৷ সৌদি আরবের পারস্য উপসাগরীয় বিষয়ক মন্ত্রী তামের আল-সাবহান আরও বলেন, ক্ষমতায় আসার পর এক বছরে হারিরি প্রশাসন হেজবোল্লাহর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে৷ ওই গোষ্ঠীকে দেশের দক্ষিণে ফেরত পাঠিয়ে কোণঠাসা করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ তবে সৌদি আরব সেই লক্ষ্যে কী পদক্ষেপ নেবে, সৌদি মন্ত্রী সে বিষয়ে কিছু জানাননি৷

হেজবোল্লাহ নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ হারিরির বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন৷ তাঁর মতে, এই বিবৃতি আসলে সৌদি আরব লিখে দিয়েছে৷ তারাই হারিরিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে৷ হেজবোল্লাহর ঘনিষ্ঠ লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন৷ সংসদের স্পিকার নবিহ বেরি-ও এই মুহূর্তে নতুন সরকার গড়ার কোনো উদ্যোগ নেই বলে জানিয়েছেন৷ হারিরি শীঘ্রই দেশে ফিরবেন বলে কিছু মহল আশা করছে৷

উল্লেখ্য, সৌদি আরবের সঙ্গে হারিরি পরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে৷ হারিরি নিজে সৌদি আরবেরও নাগরিক৷ বর্তমানে সে দেশে যে দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান চলছে, তারই আওতায় হারিরিকে পদত্যাগ করতে হয়েছে বলে কিছু মহল অনুমান করছে৷

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল জুবেইর অবশ্য এমন সব সম্ভাবনার কথা নাকচ করে দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, লেবাননে সরকারের মধ্যে হেজবোল্লাহর দাপটের কারণেই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী৷ হারিরি ইচ্ছে করলে যে কোনো সময়ে সৌদি আরব ছেড়ে চলে যেতে পারেন বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ হারিরি এর মধ্যে সৌদি আরব ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন বলে তাঁর নিজস্ব টেলিভিশন কেন্দ্র ফিউচার টিভি জানিয়েছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)