1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘লেবাননের অবস্থা ডুবন্ত জাহাজের মতো’

১৮ নভেম্বর ২০১৯

দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরি৷ বাড়ছে রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা৷

https://p.dw.com/p/3TEek
লেবাননে বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থীছবি: picture-alliance/AP Photo/H. Malla

শিয়াপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবোল্লাহর ঘনিষ্ঠ নাবিহ বেরি সংসদে উপস্থিত ব্যক্তিদের জানান যে, নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া বর্তমানে একেবারেই স্তব্ধ হয়ে পড়েছে৷ দেশের অবস্থা ডুবন্ত জাহাজের মতো, যাকে উদ্ধার করতে প্রয়োজন কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ৷

বিভিন্ন দেশের কাছে বাড়তে থাকা দেনা ও আর্থিক মন্দার পরিবেশে লেবাননে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ৷ ২৯ অক্টোবর জনগণের চাপে পদত্যাগ করেন তিনি৷

রবিবার বাড়তে থাকা জনরোষের মধ্যে দেশের ব্যাংকগুলি জানায় যে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে তারা৷ সপ্তাহে ১ হাজার ডলারের বেশি অর্থ তুলতে পারবেন না কেউ৷ পাশাপাশি কেউ জরুরি খরচ ছাড়া বড় অঙ্কের লেনদেন করতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে৷ ব্যাংকের কর্মচারীরাও ধর্মঘটে রয়েছেন৷

নতুন সরকার কত দূর?

হেজবোল্লাহ বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চোখে একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন৷ এই হেজবোল্লাহ ও স্পিকার বেরি দুজনেই চাইতেন সরকার চালান আল-হারিরি৷ কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না৷

উল্লেখ্য, লেবাননের রাষ্ট্রকাঠামো অনুযায়ী, একজন সুন্নি মুসলিম ব্যক্তিই কেবল লেবাননের প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে পারেন৷ সাবেক অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ সাফাদির প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হলে তিনি তা নাকচ করে দেন৷ তাই নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া থেমে রয়েছে৷ সামনে নেই কোনো নির্দিষ্ট প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী৷

এদিকে, ইরান-ঘনিষ্ঠ হেজবোল্লাহ জানিয়েছে যে, প্রতিবাদী গোষ্ঠীদের সাথে ‘রাজনৈতিক সমঝোতার পথ’ খুঁজছে তারা৷ ফলে, কী হবে লেবাননের ভবিষ্যৎ, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা৷

এসএস/এসিবি (রয়টার্স)