1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লোকসভার আগে সিএএ-র বিজ্ঞপ্তির লক্ষ্য মতুয়া ভোট?

৩ জানুয়ারি ২০২৪

নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে।

https://p.dw.com/p/4aouF
দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেটের কাছে সিপিএমের সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ।
সিএএ-র বিরুদ্ধে বামেদের বিক্ষোভ।ছবি: Mohsin Javed

২০১৯ সালের ডিসেম্বরেসিএএ সংসদে পাস হয়ে গেছে। কিন্তু তারপর তার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে  গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, সিএএ এবার চালু হয়ে যাবে। এবার লোকসভা ভোটের আগে সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যেতে পারে।

সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি জারি হলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ, ক্রিশ্চানরা ভারতে এলে তারা নাগরিকত্ব পাবে। তবে মুসলিমরা পাবে না। এর পিছনে যুক্তি হলো, হিন্দু-সহ অন্যরা এই প্রতিবেশী দেশগুলিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু। কিন্তু মুসলিমরা সেখানে সংখ্যাগুরু। তাই তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার কোনো যুক্তি নেই।

২০১৯ সালে এই আইন পাস হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখা দেয়। দিল্লির শাহিনবাগেও সিএএ এবং এনআরসি-র প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল-সহ অন্য বিরোধী দলগুলির মত ছিল, ধর্মীয় ভিত্তিতে এরকমভাবে নাগরিকত্ব দেয়া যায় না।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি ও রুল ফ্রেম করা হয়ে যাবে। যারা নাগরিকত্ব চাইবেন, তাদের জানাতে হবে, কোন বছর তারা ভারতে এসেছিলেন এবং কোথা থেকে এসেছিলেন?

তবে বিরোধী নেতারা প্রথম থেকে বলছেন, এই নাগরিকত্ব পেতে সময় লাগবে। নিয়মকানুনের বাধা টপকে নাগরিকত্ব পেতে কয়েক বছর সময়ও লেগে যেতে পারে। ফলে এই লোকসভার আগে সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও নাগরিকত্ব কবে পাওয়া যাবে তা রুল ফ্রেম হওয়ার পর বোঝা যাবে।

তবে আসাম এই আইনের বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য, আসাম চুক্তি অনুসারে ১৯৭১ সালের কাট অফ তারিখের পর যারা আসবে তারা সেখানে নাগরিকত্ব পাবে না। এই আইন চালু হলে তো সেই তারিখের পরও যারা আসবে, তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। তাই এটা তারা মানতে চায় না। এখন আসামের জন্য আইনে কোনো বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে কিনা তা জানা যায়নি।

প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, যদি এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যায় এবং ওইসব দেশ ছেড়ে আসা মানুষ নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন, তাহলে তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে মতুয়াদের উপর পড়বে। গতবার মতুয়া ভোট পাওয়ার কারণে বিজেপি বনগাঁও ও ব্যারাকপুর আসনে জিতেছিল। এবার মতুয়ারা মুখ ফিরিয়ে নিলে ওই দুই আসনে বিজেপি জিততে পারবে না। তাই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে মতুয়া ভোট বিজেপি পেতে পারে।

শুভাশিস বলেছেন, গুজরাটে বিধানসভা ভোটের আগে পাকিস্তান থেকে আসা কিছু হিন্দুকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছিল। এর একটা মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবও রয়েছে।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই)