1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মমতার করোনা ও সহিংসতা রোখার অঙ্গিকার

৫ মে ২০২১

তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শপথ নেয়ার পর মমতার ঘোষণা- করোনা ও সহিংসতা থামানো হবে তার প্রথম কাজ৷

https://p.dw.com/p/3syi7
তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ছবি: AP Photo/picture alliance

তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নেয়ার পর মমতার ঘোষণা- করোনা ও সহিংসতা থামানো হবে তার প্রথম কাজ।

রাজভবনে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মাত্র পঞ্চাশ জন অভ্যাগতের সামনে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শপথ নিয়েছেন বাংলায়। পরনে ছিল সাদা সুতির শাড়ি। পায়ে সাদা হাওয়াই চটি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।

শপথ নিয়ে মমতা বলেন, তিনি প্রথমেই যে দুটি বিষয় রুখতে চান, তা হলো করোনা এবং সহিংসতা। করোনা নিয়ে তিনি নবান্নে দুপুরেই বৈঠক ডেকেছেন। জানিয়েছেন, তারপরেই কী কী সিদ্ধান্ত  নেয়া হলো, তা তিনি জানিয়ে দেবেন। আর সহিংসতা নিয়ে তার বার্তা- বুধবার থেকে তিনি দায়িত্ব নিলেন, এখন কাউকে ছাড়বেন না, কেউ সহিংসতা করলে কঠোর ব্যবস্থানিতে পিছপা হবেন না৷

মমতা বলেন, এতদিন প্রশাসন ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে, এবার তার হাতে এলো। তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রশাসনে দক্ষ কর্মীদের নিয়ে আসবো।’’

রাজ্যপাল ধনখড় বলেন, ‘‘প্রথম কাজ হলো এই সহিংসতা বন্ধ করা। এটা গণতন্ত্রবিরোধী। আমার আশা, মুখ্যমন্ত্রী আইনের শাসন বহাল করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।’’ মমতাকে ‘ছোট বোন’ বলে সম্বোধন করে তিনি বলেন, ''আমি আশা করবো, সকলে দলগত স্বার্থের উপরে উঠে কাজ করবেন।’’

মমতার শপথগ্রহণে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। কংগ্রেসের তরফ থেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। বিজেপি বা বামেদের কোনো প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে ছিলেন না।

করোনা ঠেকানো ও সহিংসতা বন্ধ করাটা মমতার পক্ষে কতটা কঠিন? প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র এ বিষয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মমতা সকলকে বিনা পয়সায় টিকা দেয়ার চেষ্টা করবেন, এটা ঠিক। তিনি স্বাস্থ্যসাথী বা প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার বিমা করিয়ে দিচ্ছেন। সেই কাজও জারি থাকবে৷’’ কিন্তু শুভাশিস মনে করেন, ‘‘সহিংসতা মমতার একার পক্ষে বন্ধ করা কঠিন। কারণ, প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজের সুবিধামতো এতে মদত দেয়। সব রাজনৈতিক দলকে এক হয়ে এটা বন্ধ করতে হবে৷’’

জিএইচ/এসিবি (পিটিআই, এএনআই)