1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে সরকারের চার সিদ্ধান্ত 

২৭ আগস্ট ২০২১

প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক থেকে চারটি সিদ্ধান্ত এসেছে৷শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়৷

https://p.dw.com/p/3zYn6
ফাইল ছবিছবি: Getty Images/B. Stirton

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য নানা মহলের চাপের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল সভা হয়৷ সভায় চলমান ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে চারটি কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷

জাতীয় কমিটির পরামর্শ নেওয়া

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নীচে আসার জন্য এতদিন ধরে অপেক্ষা করা হলেও এখন তা থেকে সরে এসেছে মন্ত্রণালয়৷

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশ বা তার কম থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘ ছুটির বিরূপ প্রতিক্রিয়াসহ সম্ভাব্য সব নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে সরকার ‘সম্পূর্ণ সচেতন'৷

সেজন্য সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশ বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি থাকলেও ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা যায়, তা নিয়ে কোভিড বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আগামী সপ্তাহে যৌথ বৈঠক করে পরামর্শ চাওয়া হবে৷

তদারকি

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যে ‘স্কুল রিওপেনিং প্ল্যান’ তৈরি করেছে, তা বাস্তবায়ন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়টি তদারক করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় আগামী সাত দিনের মধ্যে 'চেকলিস্ট' প্রণয়ন করা হবে৷

টিকা দিতে ইসির শরণ

বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধন করেনি, তাদের তালিকা আগামী সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে৷ যাদের বয়স ১৮ পেরিয়ে গেছে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে এবং দ্রুততম সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা চাইবে৷

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন

শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারীদের টিকা নেওয়া বাকি, তাদের টিকাদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাদান কেন্দ্র খোলার চিন্তা করা হচ্ছে৷ প্রয়োজনে সব জেলায় এক বা একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধু শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারীদের জন্য টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়৷

গত মার্চে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের কারণে সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে যেতে হয় মন্ত্রণালয়কে৷ শিক্ষামন্ত্রী এতদিন শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের জীবন ঝুঁকিতে ঠেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার কথা বললেও এখন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং শিক্ষকদের মধ্য থেকেও খুলে দেওয়ার চাপ আসছে৷

ইউনিসেফও দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার তাগিদ দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ দীর্ঘ ছুটির দেশ হিসেবে বিশ্বে দ্বিতীয়৷ 

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি, সব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দপ্তর ও সংগঠনের দায়িত্বশীলদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন৷

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও নাসিমা আক্তার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন এই ভার্চুয়াল বৈঠকে৷

বৈঠকে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহসহ কমিশনের অন্য সদস্যরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের অধ্যক্ষরা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য