1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন-ভারতের গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া

১৮ জুন ২০২০

সীমান্তে সংঘাতের মধ্য দিয়ে চীন ভারতের সঙ্গে হঠকারিতামূলক আচরণ করেছে বলে উল্লেখ করেছে ভারতের গণমাধ্যমগুলো৷ অন্যদিকে চীনের সংবাদমাধ্যম এই ঘটনার জন্য ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডকেই দুষছে৷

https://p.dw.com/p/3dxqo
ছবি: Reuters/A. Fadnavis

‘কোনো কূটনৈতিক বিনয় নয়’

ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’ এই ঘটনাকে ‘চীনের আগ্রাসন’ হিসেবে উল্লেখ করেছে৷ করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে চীনের বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে তদন্তের যে আন্তর্জাতিক দাবি উঠেছে, তাতে সায় আছে ভারতের৷ আর এ কারণেই চীন মূলত ভারতকে সতর্কবার্তা দিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমটি তাদের এক কলামে উল্লেখ করেছে৷

‘‘বেইজিং যদি ভারতকে চীনের কূটনৈতিক অবস্থানের বিষয়ে চুপ করাতে পারে তাহলে প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও এই কঠিন বার্তাটি দেয়া হবে যে এশিয়ার সিদ্ধান্ত আসলে কে নিবে৷ আর সে কারণেই চীন যা পছন্দ করে না, ভারতের সেটাই করা উচিত হবে এবং পালটা কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে,’’ এমনটাই লেখা হয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে৷

এই প্রেক্ষাপটে হংকংয়ের অর্থনীতি, তিব্বত ও শিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা এবং তাইপের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিতে নতুন দিল্লিকে পরামর্শ দিয়েছেন ঐ কলামের লেখক৷ চীনের পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে বাণিজ্যকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারেরও পরামর্শ দেন তিনি৷

‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর একটি কলামে বলা হয়েছে, অল্প কিছুদিন আগেই দুই দেশের সামরিক কর্মকর্তারা একটি সমঝোতা করেছিলেন৷ চীনের হাতে ভারতীয় ২০ সেনার মৃত্যু সেটিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে৷ লেখক মনে করছেন, ‘‘বিভিন্ন বৈঠকের মধ্য দিয়ে শি জিনপিং ও নরেন্দ্র মোদী যে চুক্তি করেছেন চীনের হঠকারিতায় তার বরখেলাপ ঘটেছে৷ সব ধরনের রাজনৈতিক ও সামরিক চ্যানেল চালু করে নতুন দিল্লিকে এই বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত৷’’

চীনের দিক থেকে বন্ধুত্বের ইঙ্গিত!

চীনের সংবাদমাধ্যম জিয়েফাং জুনবাও (পিপলস লিবারেশন আর্মির সংবাদপত্র) সীমান্তে সোমবারের সংঘর্ষকে দেখছে এভাবে: ‘‘১৫ জুন সন্ধ্যায় ভারতীয় বাহিনী চীন-ভারত সীমান্তের গালওয়ান নদী উপত্যকায় সীমান্তরেখা বরাবর পুনরায় বেআইনি কর্মকাণ্ড চালিয়েছে৷ তারা পরিকল্পিতভাবে হামলার উসকানি দিয়েছে৷ যার ফলশ্রুতিতে সৃষ্ট সংঘাতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে৷’’

নিবন্ধটিতে ভারতকে তার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ, সব ধরনের সীমান্ত সংঘাত নিরসন এবং বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আলোচনায় ফেরার আহবান জানানো হয়৷

ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে ২০ সেনাসদস্য নিহত হওয়ার খবর বের হলেও চীন এখনও উভয় দেশের কারো হতাহতের বিষয়েই মুখ খোলেনি৷ এর কারণ হিসেবে গ্লোবাল টাইমসের চীনা সংস্করণে সংবাদপত্রটির প্রধান সম্পাদক লিখেছেন, ‘‘দুই দেশের জনগণ মৃত্যুর পরিসংখ্যানের তুলনা করুক, চীন এমনটা চায় না৷ এতে খারাপ হওয়া পরিস্থিতি আরো নাজুক হতে পারে৷ চীনের দিক থেকে এটি বন্ধুত্বের ইঙ্গিত৷’’

তিনি ‘দেশের বাইরে থেকে ছড়ানো মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কোনো গুজবে’ কান না দিতে পাঠকদের প্রতি আহবান জানান৷ প্রধান সম্পাদক লিখেছেন, ‘‘উত্তেজনা নিরসনে আমাদের সরকার ও পিপলস লিবারেশন আর্মি যে কৌশল নিয়েছে আমরা তার উপর আস্থা রাখি৷’’

এদিকে বুধবার তিব্বতের মালভূমিতে সামরিক বাহিনীর মহড়া চালানোর ছবি প্রকাশ করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন৷ পিপলস লিবারেশন আর্মির ব্রিগেডটি সামরিক সরঞ্জামসহ তিন স্তরের নিরাপত্তা অনুশীলন চালিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে খবরে৷

হান্স স্প্রস, হাও গুই/এফএস