1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংবিধান সংশোধনে মিয়ানমার সংসদে কমিটি গঠন

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা করতে একটি কমিটি গঠনের ব্যাপারে ভোট হয়েছে মিয়ানমার সংসদে৷ সামরিক আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতার মধ্যে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3Cp38
Myanmar Aung San Suu Kyi
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Khin Maung Win

পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্ন- দুই কক্ষের সদস্যরাই ভোট দেন৷ মোট ৬১১ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে কমিটি গঠনের পক্ষে ভোট দেন ৪১৪ জন৷ উল্লেখ্য, সংসদের দুই কক্ষেই অং সান সু চি'র দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে৷

স্পিকার টি খুন মেয়াত জানান, ডেপুটি স্পিকার টুন টুন হাইন এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন৷ এছাড়া কমিটিতে অন্য রাজনৈতিক দল ও সামরিক আইনপ্রণেতাদের সমান সংখ্যা থাকবে৷

অং সান সু চি'র নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি' বা এনএলডি গত সপ্তাহে সংসদে একটি ‘জরুরি প্রস্তাব' উত্থাপন করে৷ ২০০৮ সালে সেনাবাহিনী যে সংবিধান সংশোধন করেছিল, সেটিকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে তা সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়৷

সু চি ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হতে চললো এবং সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় চালিত সরকারে থেকে এই প্রথম এত বড় চ্যালেঞ্জ নিলেন তিনি৷ তবে যথারীতি সামরিক আইনপ্রণেতারা এই প্রস্তাবের কঠোর বিরোধিতা করেছেন৷ প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান জানাতে তাঁরা বেশ কয়েক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিবাদ জানান৷
২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নিপীড়নের কারণে মিয়ানমার সরকার কঠোর আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে রয়েছে৷ ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা৷  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বরাবরই রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন-নিপীড়নের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কঠোর সমালোচনা করেআসছে৷

সংবিধানে সেনাবাহিনীর জন্য সংসদে ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দের কথা বলা আছে৷ পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোতেও সেনা সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে৷

সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হলে ৭৫ শতাংশের বেশি সংসদ সদস্যের ভোট প্রয়োজন৷ সেক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সাংসদরা পরিবর্তনের বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাবটি পাস হতে পারবে না৷

মঙ্গলবার প্রস্তাবটি নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক হয়৷ এনএলডির আইনপ্রণেতারা জানান, সংবিধানের এই ধারা সংশোধনে জনগণের সমর্থন রয়েছে৷

বর্তমান সংবিধানে সু চি'র প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বাধা রয়েছে৷ কারণ বিদেশি স্বামী বা স্ত্রী থাকলে সেই ব্যক্তি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না৷ সু চি'র স্বামী ব্রিটিশ ছিলেন এবং তাঁর দুই সন্তানও ব্রিটিশ নাগরিক৷

তবে সংবিধানের কোন ধারাগুলো সংস্কার করা হবে তা এখনও স্পষ্ট করেনি এনএলডি৷

এপিবি/জেডএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান