1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংস্কারের বিনিময়ে আফ্রিকায় বিনিয়োগ

১২ জুন ২০১৭

আফ্রিকার যেসব দেশ সংস্কারের অঙ্গীকার করবে, সেসব দেশে বেসরকারি বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হবে৷ এই লক্ষ্যে বার্লিনে আজ সোমবার আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের বৈঠক হবে৷

https://p.dw.com/p/2eVvh
Afrika Kanzlerin Merkel besucht Niger
২০১৬ সালে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নাইজার সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদু ইসুফুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেনছবি: Getty Images/AFP/B. Hama

বৈঠকের আয়োজক জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ২০টি অর্থনীতির দেশের জোট জি-২০'র বর্তমান সভাপতি দেশ হিসেবে জার্মানি এই বৈঠকের আয়োজন করছে৷ জার্মানি চায়, আগামী মাসে হামবুর্গে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আফ্রিকা মহাদেশ নিয়ে আলোচনা যেন গুরুত্ব পায়৷

ম্যার্কেলের আমন্ত্রণে বার্লিনে পৌঁছেছেন ঘানা, আইভরি কোস্ট, মালি, নাইজার, রুয়ান্ডা, সেনেগাল ও টিউনিশিয়ার নেতারা৷

বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ১০০-র বেশি ব্যাংক, কোম্পানি ও অন্যান্য সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী৷

তবে এই সম্মেলন আয়োজনের বিরুদ্ধে শনিবার বার্লিনে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্বায়নবিরোধী প্রায় এক হাজার মানুষ৷ তাঁদের অভিযোগ, আফ্রিকার সম্পদ দখল করার জন্যই এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে হচ্ছে৷ বিক্ষোভে তাঁরা ‘আফ্রিকা বিক্রির জন্য নয়’ লেখা ব্যানারও প্রদর্শন করেন৷

যে কারণে আলোচনায় আফ্রিকা

জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল গতবছর আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন৷ সেই সময় তিনি মালি, নাইজার ও ইথিওপিয়া সফর করেন৷ ম্যার্কেল তখন বলেছিলেন, ‘‘জার্মানির আগ্রহেই আফ্রিকার উন্নয়ন প্রয়োজন৷’’ কারণ, আফ্রিকায় বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে, সেখানে বেশি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা গেলে ইউরোপে শরণার্থীদের আসা বন্ধ হবে৷

উল্লেখ্য, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষ উন্নত জীবনের আশায় সাহারা মরুভূমি পাড়ি দিয়ে লিবিয়ায় যায়৷ তারপর সেখান থেকে দালালদের মাধ্যমে নৌকা করে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে৷ যারা পর্যাপ্ত অর্থ দিতে পারে না, তাদের জঙ্গি নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন স্থাপনায় আটকে রাখা হয়৷ জার্মান কূটনীতিকরা এসব স্থাপনাকে অনেক সময় ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে’র মতো বলে বর্ণনা করেছেন৷

‘কম্প্যাক্টস' পরিকল্পনা

জি-টোয়েন্টি'র এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে আফ্রিকার সাতটি রাষ্ট্র তাদের দেশে সংস্কারের অঙ্গীকার করবে৷ বিনিময়ে সেসব দেশ আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থা ও জি২০-র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর কাছ থেকে বিনিয়োগ সহায়তা পাবে৷ যেমন ঘানা, আইভরি কোস্ট ও টিউনিশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে জার্মানি৷ আর জি২০-র অন্য দেশগুলো কাজ করবে ইথিওপিয়া, মরক্কো, রুয়ান্ডা ও সেনেগালের সঙ্গে৷

পূর্ববর্তী পরিকল্পনা

আফ্রিকা মহাদেশ নিয়ে এর আগেও পরিকল্পনা হয়েছে৷ ২০০৫ সালে জি-৮ এর তৎকালীন সভাপতি দেশ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ার ‘আফ্রিকা কমিশন’ গঠন করেছিলেন৷ ১৭ সদস্যের সেই কমিটির দায়িত্ব ছিল জি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে নেতাদের আলোচনার জন্য বিষয় নির্বাচন করা৷ এরপর শীর্ষ সম্মেলনে দেশগুলো আফ্রিকার জন্য প্রতিবছর অতিরিক্ত ২৫ বিলিয়ন ডলার উন্নয়ন সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ ২০১০ সাল পর্যন্ত এই সাহায্য দেয়ার কথা হয়েছিল৷ কিন্তু বাস্তবে আফ্রিকা পেয়েছিল মাত্র ১১ বিলিয়ন ডলার, বলেছে ‘অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ বা ওইসিডি৷ জার্মানিসহ অন্যান্য দেশ তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখেনি বলে জানায় সংস্থাটি৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিডাব্লিউ)