1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাস ও চরমপন্থা দমনে বাংলা ভারত ঐকমত্য

৩ ডিসেম্বর ২০০৯

ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে ঢাকার কাছাকাছি এলাকা থেকে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার আসামের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম বা উলফার প্রধান অরবিন্দ রাজখোয়াকে ঢাকায় আটক করার খবর দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/KpHt
ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত নকশাল বিদ্রোহী (ফাইল ফটো)ছবি: AP

জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ অপর বার্তা সংস্থা আইএএনএস এবং এনডি টিভির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, নতুন দিল্লির কাছে হস্তান্তর করার জন্য বাংলাদেশ তাঁকে পাঠিয়ে দিয়েছে বুধবারই৷ তবে ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তিকে আটক বা তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে এই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷

উলফা প্রধানের গ্রেফতারের এই খবর এমন একদিন বের হলো যে দিন নতুন দিল্লিতে শেষ হয়েছে বাংলা ভারত স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দশম বৈঠক৷ এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত সকল প্রকার সন্ত্রাস ও চরম পন্থা দমনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ উভয়পক্ষ সকল প্রকার সন্ত্রাস ও চরম পন্থার নিন্দা এবং একে অপরের স্বার্থ পরিপন্থি কোন কাজে কারো ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে৷

চারদিনব্যাপী এই বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান শিকদার এবং ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্র সচিব শ্রী গোপাল কে পিল্লাই৷

বৈঠক শেষে প্রকাশিত এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে দুই দেশ অপরাধ বিষয়ে পারস্পরিক আইনগত সহায়তা সংক্রান্ত চুক্তিসহ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও অবৈধ মাদক পাচার দমন চুক্তি এবং সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করেছে৷ তারা দুই দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দি বিশেষ করে যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, দ্রুত প্রত্যর্পণের স্বার্থে তাদের নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কৌশল উদ্ভাবনের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন৷ এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুই দেশ একে অপরের ভূখন্ডে পালিয়ে থাকা অপরাধীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা কয়েকগুণ বৃদ্ধি এবং প্রকৃত সময় ও যৌক্তিক তথ্যের ভিত্তিতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের সদিচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম