1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্দেহভাজন বিমান ছিনতাইকারী গুলিতে নিহত

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

দুবাইগামী একটি বাংলাদেশি বিমান ছিনতাই করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন সন্দেহভাজন ছিনতাইকারী৷ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সেনা কমান্ডোদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় তার৷

https://p.dw.com/p/3E016
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/NurPhoto/S. Ramany

এক সেনা কর্মকর্তার বরাতে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সন্দেহভাজন বিমান ছিনতাইকারীর বয়স ২৫ বছরের মতো৷ বিমানটি উদ্ধারে সেনাকমান্ডোরা অভিযান চালালে গুলিবিদ্ধ হন তিনি৷ 

সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, ‘‘সন্দেহভাজন ছিনতাইকারী অভিযানে আহত হন এবং তাকে গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান৷ তিনি বাংলাদেশি নাগরিক এবং তার কাছে একটি পিস্তল ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি৷’’

বিমানে থাকা যাত্রীরা অবশ্য সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর আগেই বিমানটি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন৷ মোট ১৪৮ যাত্রী এবং কেবিন ক্রুর সবাই নিরাপদ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সেনা মুখপাত্র৷ 

সেনা অভিযান সম্পর্কে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, তিনি সন্দেহভাজন যুবকের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে তাকে ব্যস্ত রাখেন৷ আর সেই সময়ে সেনা কমান্ডোরা নাটকীয় অভিযানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে৷ 

তিনি বলেন, ‘‘সন্দেহভাজন ছিনতাইকারী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন৷ তিনি নিজের কাছে একটি পিস্তল আছে বলে দাবি করেন৷ কিন্তু আমরা নিশ্চিত নই যে সেটি খেলনার, নাকি আসল পিস্তল৷’’ ছিনতাইকারীর শরীরে বিস্ফোরক বাঁধা রয়েছে বলেও সন্দেহ করা হয়েছিল৷ তবে সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী৷ 

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক সংস্থার প্রধান নাঈম হাসান মনে করেন, ছিনতাইকারী সম্ভবত মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘তার সঙ্গে কথাবার্তা এবং আলাপ করে মনে হয়েছে, তিনি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত৷’’

এদিকে, একজন ব্যক্তি কীভাবে অস্ত্রসহ ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে বিমানে উঠতে সক্ষম হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন হাসান৷ 

উল্লেখ্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উগ্রপন্থিদের হামলায় একাধিক নাস্তিক এবং মুক্তমনা অ্যাক্টিভিস্ট নিহত হয়েছেন৷ ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশানে এক রেস্তরাঁয় হামলা চালিয়ে ১৮ বিদেশিসহ ২২ ব্যক্তিকে হত্যা করে উগ্রপন্থিরা৷ সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট’৷ তবে, রবিবার বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার সঙ্গে উগ্রপন্থিদের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি৷ 

এআই/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)