1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকারি সংস্থা ‘মুসলিম ব্রাদারহুডমুক্ত’ করতে মিশরে নতুন আইন

১৩ জুলাই ২০২১

জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা আছে- এমন সন্দেহে বিনা নোটিসে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চাকরিচ্যূত করার আইন পাস করেছে মিশর৷ দেশটির পার্লামেন্টের সূত্র উল্লেখ করে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷

https://p.dw.com/p/3wPhq
মিশরের সংসদ
মিশরের সংসদছবি: picture-alliance/NurPhoto/M. Mostafa

সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’-এর প্রতি সহানুভূতিশীল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছাঁটাই করাই এই আইনের লক্ষ্য, দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এমন তথ্য৷ মুসলিম ব্রাদারহুডকে মিশর জঙ্গি সংগঠন মনে করে৷

এ সংক্রান্ত আগের আইনে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে কাগজ দেখেছেন রয়টার্সের প্রতিনিধি৷ বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন আইনে সরকারের জঙ্গি তালিকায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারির নাম এলেই তাকে চাকরিচ্যূত করা যাবে৷ কেবল অভিযোগ প্রমাণ হওয়া ব্যক্তিরা নন, যাদের বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে বা বিচার চলছে তারাও আসবেন এই আইনের আওতায়৷ সরকারের জঙ্গি তালিকাতে বেশ কয়েকজন উদারপন্থি ও বামপন্থি অ্যাক্টিভিস্টের নামও রয়েছে৷

আদালতের আদেশে যাদের নাম জঙ্গি তালিকার অন্তর্ভূক্ত করা হয়, সাধারণত তাদের সম্পদ জব্দ, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি দেয়া হতো এবং আপিল করার জন্য ৬০ দিন সময়ও দেয়া হতো৷ সরকারি কৌশুলিরা কারো নাম তালিকায় ঢোকানোর জন্য আদালতে আবেদন করলে আদালত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতো৷

১৯৭২ সালের ডিসমিসাল উইদাউট ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন অ্যাক্ট অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হতে পারে এমন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চাকরিচ্যূত করার ক্ষমতা দেয়া হয় সরকারকে৷ নতুন আইনের ফলে জঙ্গি তালিকায় নাম থাকাকেও ‘উপযুক্ত প্রমাণ’ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে৷

এডিকে/এসিবি (রয়টার্স)