1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সহিংস হামলার পর হংকংয়ে আলোচনায় মানসিক স্বাস্থ্য

২৭ জুন ২০২৩

হংকংয়ে পরপর কয়েকটি সহিংস হামলার পর সেখানকার মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ এই রোগে আক্রান্তদের সেবা দেয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ হংকংয়ে নেই বলে অভিযোগ করছে বিভিন্ন সংস্থা৷

https://p.dw.com/p/4T6gP
হংকংয়ের রাস্তায় মোবাইল ব্যবহার করছেন এক নারী৷
হংকংছবি: Fotostand / Hallmann/picture alliance

চলতি মাসে এক ব্যস্ত শপিং মলে ছুরিকাঘাতে দুই নারী মারা যান৷ হামলাকারীর মানসিক অসুস্থতার ইতিহাস আছে বলে পরে পুলিশ জানিয়েছিল৷

এর কয়েকদিন পর আরেক ছুরি হামলায় ম্যাকডোনাল্ডসের ম্যানেজার মারাত্মকভাবে আহত হন৷

এছাড়া এই মাসেই তিন কন্যাকে শ্বাসরোধ করার সন্দেহে ২৯ বছর বয়সি এক মাকে আটক করা হয়৷

২৮ বছর বয়সি মডেল অ্যাবি চোইকে হত্যার অভিযোগে ফেব্রুয়ারিতে চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়৷ 

পলিসি ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ‘আওয়ার হংকং ফাউন্ডেশন' বলছে, হংকংয়ের ৭০ লাখের বেশি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে৷ তাদের সহায়তা করার মতো যথেষ্ট সুবিধা হংকংয়ের নেই বলে জানিয়েছে তারা৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন ও ২০২২ সালের একটি জরিপের উল্লেখ করে ফাউন্ডেশন বলছে, ‘‘গত কয়েক বছরে হংকংয়ের জনগণের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে৷'' ২০২২ সালের জরিপে হংকংয়ের মানুষের মধ্যে বিষন্নতার অনেক উপসর্গ দেখা গেছে৷

এর জন্য করোনা মহামারিকে অনেকাংশে দায়ী করছেন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ করোনার সময় হংকংয়ে বিশ্বের অন্যতম কঠোর লকডাউন নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল৷

এছাড়া ২০১৪ সালে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর ২০১৯ সালে হংকংয়ে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ বেশ কয়েকবার সহিংসতায় রূপ নিয়েছিল৷

ব্রিটিশদের কাছ থেকে চীনের অধীনে যাওয়ার পর মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়গুলো সংকুচিত হওয়া, জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়া, আয় বৈষম্য বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত আবাসস্থলের অভাব ইত্যাদি কারণে মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ায় এসব বিক্ষোভ হয়েছে৷

গবেষক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জুডি ব্লেইন বলছেন, বিভিন্ন ধরনের চাপ একত্রিত হয়ে হংকংয়ের মানুষের উপর প্রভাব ফেলছে৷

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান ও এই সমস্যায় আক্রান্ত মানুষকে কীভাবে সহায়তা দেয়া যায় তা নিয়ে প্রশাসন বৈঠক করেছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন হংকং প্রশাসনের এক মুখপাত্র৷

এদিকে, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাগুলো৷ ‘মাইন্ড হংকং' সংস্থার প্রধান নির্বাহী ক্যারোল লিয়াং বলছেন, জরুরি নয় এমন সমস্যার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে সর্বোচ্চ ৯০ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে৷

৩৮ দেশের সংগঠন ‘অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট' বা ওইসিডির একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করে তিনি বলেন, হংকংয়ে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য মাত্র ৭.৫৫ জন সাইকিয়াট্রিস্ট ও ৮.১৫ জন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট আছেন- যেখান ওইসিডির গড় যথাক্রমে ১৮ ও ৫৩৷

জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স)