1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিক নিহতের সংখ্যা কমেছে, বেড়েছে গ্রেপ্তার

১৭ ডিসেম্বর ২০১৯

কাজ করতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা কমেছে৷ কিন্তু সাংবাদিকদের কাজে হস্তক্ষেপ কমেনি৷ দেশে দেশে এখনও গ্রেপ্তার বহু পেশাদার৷ রিপোর্ট পেশ করল সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা৷

https://p.dw.com/p/3UwDM
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Scholz

ষোলো বছরে সব চেয়ে কম সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে ২০১৯ সালে৷ কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে৷ রিপোর্ট প্রকাশ করল রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স নামে একটি সংস্থা৷ তাদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে গোটা বিশ্বে কাজ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৪৯ জন সাংবাদিক৷ কিন্তু দেশে দেশে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়েছে অনেক গুণ৷

২০১৯ সালে মেক্সিকো, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে সব চেয়ে বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন৷ সংস্থাটি এই কটি দেশকেই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সব চেয়ে আশঙ্কাজনক জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷ রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮সালে সব মিলিয়ে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ছিল ৮৭৷ ২০১৯ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯৷ তবে এর জন্য কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি৷ তাদের বক্তব্য, গত এক বছরে তথাকথিত যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে সাংবাদিকরা কাজ কম করেছেন৷ সিরিয়া বা মধ্য প্রাচ্য-এর দেশ গুলিতে যাঁরা গিয়েছেন তাঁরা অনেক বেশি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন৷  আফগানিস্তানের মতো দেশে, যেখানে কাজ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের নিহত হওয়ার হার চোখে পড়ার মতো বেশি, সেখানে ইদানীং সাংবাদিকরা অনেক বেশি সতর্ক হয়ে কাজ করছেন৷ একবারে অনেকটা রাস্তা একা পাড়ি দিচ্ছেন না৷ রিপোর্ট অনুযায়ী এ বছর এক দেশ থেকে অন্য দেশে কাজ করতে গিয়ে কার্যত একজন সাংবাদিকেরও মৃত্যু হয়নি৷ গত এক দশকে যে সংখ্যাটা ছিল চোখে পড়ার মতো৷

মৃত্যু হয়তো হয়নি, কিন্তু দেশে দেশে সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচারকমেনি৷ গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সব চেয়ে বেশি সাংবাদিককে বিভিন্ন কারণে আটক করা হয়েছে৷ সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৩৮৯৷ যার মধ্যে এক নম্বরে চীন৷ শুধু সে দেশেই এখনও পর্যন্ত আটক সাংবাদিকের সংখ্যা ১২০৷

সাংবাদিকরা কম নিহত হয়েছেন, এটা আশার কথা৷ তবু প্রশ্ন উঠছে, দেশে দেশে কতটা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছেন সাংবাদিকরা৷ শুধু চীন নয়, তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশ গুলিতেও ইদানীং সাংবাদিকদের কাজে বাধা সৃষ্টিকরছে সরকার৷ ভারতেও গত কয়েক বছরে এই অভিযোগ বার বার উঠেছে৷ বস্তুত, গোটা উপমহাদেশেই এই অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে৷ পিছিয়ে নেই লাতিন অ্যামেরিকাও৷ সেখানেও বার বার সাংবাদিকদের কাজে হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ উঠছে৷

মিরজাম বেনেকে/এসজি/জিএইচ