1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাইপ্রাস নিয়ে এর্দোয়ানের প্রস্তাব

১৬ নভেম্বর ২০২০

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের প্রস্তাব, দুই দেশে ভাগ করে দেয়া হোক সাইপ্রাসকে। একটি গ্রিক প্রধান দেশ এবং অন্যটি তুর্কি প্রধান দেশ।

https://p.dw.com/p/3lLGI
ছবি: Celal Gunes/AA/picture alliance

রোববার বিতর্কিত সমুদ্রসৈকত ভারোশাতে পিকনিক করতে গেছিলেন এর্দোয়ান। সেখানেই তিনি সাইপ্রাসকে দুই দেশে ভাগ করার প্রস্তাব দেন। গ্রিকভাষীদের প্রধান্য যেখানে সেই দক্ষিণ সাইপ্রাস ও তুর্কিদের প্রাধান্যের উত্তর সাইপ্রাস আলাদা দেশ হোক। ১৯৭৪ সাল থেকে উত্তর সাইপ্রাস দখল করে আছে তুরস্ক। সেখানে তুরস্কপন্থী সরকার আছে। কিন্তু একমাত্র তুরস্ক ছাড়া আর কোনো দেশ উত্তর তুরস্ককে স্বীকৃতি দেয়নি।

তুরস্কের উত্তর সাইপ্রাস অভিযানের ৩৭ তম বার্ষিকীতে এর্দোয়ানের প্রস্তাব, ''সাইপ্রাসে দুই ধরনের মানুষ বাস করেন। দুইটি আলাদা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে। তাই সার্বভৌমত্ব ও সাম্যের ভিত্তিতে দুইটি আলাদা দেশের আলোচনা শুরু হোক।''

নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে ইইউ

এর্দোয়ানের উত্তর সাইপ্রাস সফর ও এই মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে। সাইপ্রাস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তুরস্কের কোনো শ্রদ্ধা নেই। ইউরোপীয় নীতি ও মূল্যবোধও তারা মানে না। ইইউ-র প্রতিও তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। 

সম্প্রতি সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে তুরস্কের ঝামেলা হয়েছে। তুরস্ক পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইইউ জানিয়েছে, বেআইনিভাবে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করায় আগামী মাসে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।

বিলাসবহুল রিসর্ট থেকে ভুতুড়ে শহর

১৯৭৪ সালে গ্রিসের সামরিক শাসকরা সাইপ্রাসে অভ্যুত্থান ঘটায়। তার প্রতিক্রিয়ায় উত্তর সাইপ্রাস অভিযান করে তুরস্ক। জাতিসংঘ তাকে বেআইনি আখ্যা দিয়েছে। গ্রিস জানায়, তুরস্কের উদ্দেশ্য, পুরো সাইপ্রাস দখল করে নেয়া।

১৯৮৩ সালের ১৫ নভেম্বর টার্কিশ রিপাবলিক অফ নর্দান সাইপ্রাস(টিআরএনসি) গঠিত হয়। তারপরই ভারোশার ভোলবদল হয়। একদা যে সমুদ্রসৈকত ছিল বড়লোক ও বিখ্যাত লোকেদের অন্যতম পছন্দের জায়গা, তা ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়। বড় বড় বিলাসবহুল রিসর্ট, হোটেল এখন ভেঙে পড়েছে। গত ৮ অক্টোবর তুরস্কের সেনা ভারোশাকে আংশিকভাবে খুলে দেয়। এই সিদ্ধান্ত নিয়েও আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে এর্দোয়ানকে।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, এপি, রয়টার্স)