1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাগরের অম্লতা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে

২২ নভেম্বর ২০১৬

উত্তর সাগরে জার্মান দ্বীপপুঞ্জ হেলিগোল্যান্ডের গবেষকরা আন্তর্জাতিক৷ তাদের চিন্তা সাগরের অম্লতা বৃদ্ধি নিয়ে৷ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া বিষয়টির তল পাওয়া সম্ভব নয়, সমাধান তো দূরের কথা৷

https://p.dw.com/p/2T1ZZ
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা নেটওয়ার্ক
ছবি: STR/AFP/Getty Images

পানির তাপমাত্রা বাড়াই একমাত্র সমস্যা নয়৷ ওশেনোগ্রাফার কারেন উইল্টশায়ার জানান, ‘‘বর্তমানে একটা বড় উদ্বেগ হলো সাগরের অম্লতা বৃদ্ধি, যে জন্য আমাদের একটি প্রকল্প হলো, উপকূল এলাকায় অম্লতার পরিমাপ করা৷ জার্মানির উপকূলবর্তী সাগরের পানির অম্লতা বাড়বে কিনা, তা আদৌ স্পষ্ট নয় এবং সে-বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্যও নেই৷''

মহাসমুদ্রের পানির অম্লতা যে বাড়ে, তা দেখা গেছে৷ তার ফলশ্রুতিস্বরূপ বিশেষ করে সাগরের প্রাণীরা বিড়ম্বনায় পড়ে৷ কিন্তু বিশ্বের সাগরাঞ্চল সুরক্ষিত করার জন্য শুধু তথ্য সংগ্রহ করলেই চলবে না, সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সক্রিয় হতে হবে৷

পার্টনারশিপ ফর অবজারভেশন অফ দ্য গ্লোবাল ওশেন্স বা ‘পোগো'-র সভাপতি কারেন উইল্টশায়ার বলেন, ‘‘আমরা বিজ্ঞানীরা সবসময়ে একমত নই – অপরদিকে রাজনীতিক কিংবা যাদের স্বার্থ বিষয়টির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে কথা বলার মতো দক্ষতার অধিকারীও আমরা নই৷ অথচ আমরা দেখছি, স্বার্থ আর প্রয়োজন যেখানে, বিজ্ঞানকে সেখানে পৌঁছে দেওয়া ক্রমেই আমাদের একটা দায়িত্ব বা কর্তব্য হয়ে উঠছে৷''

সারা বিশ্ব থেকে তরুণ বিজ্ঞানীরা হেলিগোল্যান্ডে আসেন বছর খানেকের জন্য৷ উদ্দেশ্য: পঠন-পাঠন ও গবেষণা৷ যেমন জাপানের হিরোশি ইনু, যিনি গলদা চিংড়ি নিয়ে গবেষণা করছেন৷ গলদা চিংড়ি উত্তর সাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী, কিন্তু আজ বিপন্ন৷ সেই জন্যে হিরোশি গবেষণা করছেন, গলদা চিংড়িদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের কি প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে৷ বিশ্বের ওশেনোগ্রাফারদের আরো ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করা উচিত কেন, সে বিষয়ে পোগো ফেলো সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ইন অবজারভেশনাল ওশেনোগ্রাফির হিরোশি ইনু বললেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনে কোনো দেশের পক্ষে একা কিছু করা সম্ভব নয়৷ সারা বিশ্বকে সহযোগিতা করতে হবে৷ কোনো দেশ একা এর সমাধান করতে পারবে না৷''

দুনিয়ার সাগরগুলিতে অতিমাত্রায় মাছ ধরার ফলে জীববৈচিত্র্য বিপন্ন হতে চলেছে৷ এর বিরুদ্ধে কিছু করতে হবে, বলেন কারেন উইল্টশায়ার, ‘‘আমার কাছে সেটা পরিষ্কার হয়ে যায়, যখন আমরা হেলিগোল্যান্ডে আমাদের অ্যাকোয়ারিয়ামের চৌবাচ্চাগুলো থেকে মাছগুলোকে বার করে নিই আর শুধু জলটা পড়ে থাকে৷ আমি যেন একটা শক পাই৷ আমি ১৪ বছর ধরে দেখছি চৌবাচ্চায় ওরা সবাই ভাসছে, সাঁতার কাটছে, খাচ্ছে, কামড়াকামড়ি করছে – হঠাৎ যেন কেউ সুইচ টিপে আলো নিভিয়ে দিয়েছে – সব কিছু ফাঁকা, সব কিছু খালি৷ এই কথাটা মনে রাখতে হবে, এর আসল অর্থ কী? আমরা ঠিক কী নিভিয়ে দিচ্ছি৷''

সাগর ভবিষ্যতেও থাকবে৷ প্রশ্ন হলো: সেই সাগরের পানিতে কোন কোন প্রাণী থাকবে? আর সেই প্রাণিসম্পদ থেকে উপকূলের মানুষ জীবনধারণ করতে পারবে কিনা৷

মাবেল গুন্ডলাখ/এসি

দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য