1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাগরের পানি আর কত বাড়বে?

আইরিন কোয়েল/এসি২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন, তা ধীরে ধীরে ভীতিজনক হয়ে উঠছে৷বিজ্ঞানীদের চোখ এখন সুমেরু-কুমেরুর বরফের আস্তরণের দিকে, যা পুরোপুরি গললে সাগরের জল বাড়তে পারে দু'শো ফুট!

https://p.dw.com/p/1I2fH
Bildergalerie Extrem-Sportart
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Kahnert

‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ' বা আইপিসিসি তিন বছর আগেই অনুমান করার চেষ্টা করেছিল, বিশ্বের উষ্ণায়নের ফলে সাগরের পানি কতটা বাড়তে পারে৷ শুধু একটি ভুল হয়ে গিয়েছিল: গ্রিনল্যান্ড আর অ্যান্টার্কটিকা অর্থাৎ কুমেরুর বরফের আস্তরণ গললে কি ঘটবে, সেটা তারা হিসেবের মধ্যে ধরেননি৷ ওদিকে এই দুটি অঞ্চলে বিশ্বের মিষ্টি পানির দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ধরা রয়েছে৷ গ্রিনল্যান্ডের বরফের আস্তরণ গললে সাগরের পানি বাড়বে ছ'মিটার বা ২০ ফুট৷ কুমেরুর বরফ গললে সাগরের জল বাড়বে ৬০ মিটার বা ২০০ ফুট৷

বিপদ তো শুধু একদিক থেকেই নয়৷ বরফ গলে জল বাড়া এক কথা; আবার সাগরের জলের তাপমাত্রা বেড়ে সেই জলের সম্প্রসারণ আরেক কথা৷ জার্মানির বন বিশ্বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রোলেয়ফ রিটব্রুক ডয়চে ভেলে-কে বলেছেন যে, সাগরের পানি বাড়ার ক্ষেত্রে সাগরের জলের তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাব এর আগে যা ভাবা গিয়েছিল, তার অন্তত দ্বিগুণ৷ যেমন বর্তমানে সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ছে বছরে প্রায় ২ দশমিক সাত মিলিমিটার করে - তার প্রায় অর্ধেকই নাকি জলের তাপমাত্রা বাড়ার ফলে৷ ওদিকে মার্কিন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, সাগরের পানির তাপমাত্রা বাড়ার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে - প্রাক-শিল্পায়ন আমল থেকে সাগরের পানির তাপমাত্রা যতটা বেড়েছে, তার অর্ধেকই নাকি এসেছে গত দুই দশকে৷ এই অতিরিক্ত তাপ বা উষ্ণতার ৩৫ শতাংশ নাকি জমা হয় সাগরের ৭০০ মিটার নীচের পানিতে - বিশ বছর আগেও সাগরের পানির এই স্তরে জমা হত মাত্র ২০ শতাংশ অতিরিক্ত তাপ৷

যেভাবেই দেখা যাক, পরিস্থিতি শঙ্কা সৃষ্টি করতে বাধ্য৷ কুমেরুর বরফ সুমেরুর চেয়ে বেশি স্থিতিশীল বলে ধারণা ছিল, কিন্তু বিগত কয়েক দশকে দক্ষিণ মেরুর তুষার - বিশেষ করে পশ্চিমাংশের - গলতে শুরু করেছে এবং ক্রমেই আরো দ্রুতহারে গলছে৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, কুমেরু আর গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলা থেকে বিশ বছর আগে সাগরের পানি যতটা বাড়ছিল, আজ তার তিনগুণ বেশি বাড়ছে৷ সর্বশেষ ভবিষ্যদ্বাণী হল, সাগরের পানির তাপমাত্রা যদি আজকের তুলনায় দুই ডিগ্রি বাড়ে, তাহলে দক্ষিণ মেরুর পশ্চিমাংশের সব বরফ গলে যাবে৷ পূর্বাংশের বরফও নাকি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে আর পুরোপুরি মুক্ত নয়৷

তাহলে সমাধান? পুরোপুরি কার্বন নির্গমন বন্ধ করা, যা কিনা সম্ভব নয়৷ তাহলে? শহর ছাড়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে মানুষজনকে, বিশেষ করে উপকূলের শহর৷ কিন্তু কোথায় যাবে তারা? বাস্তুত্যাগ আর অভিবাসনের সেই কাহিনি কি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে যায়নি?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান