1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সিরিয়া হোটেল নয়, যখন খুশি আসা-যাওয়া করা যায় না'

৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

লেবানন থেকে সিরিয়ায় ঢোকার সময় এক সিরীয় পরিবারকে এই কথা বলেছিলেন সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা৷ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে এই তথ্য জানিয়েছেন ঐ পরিবারের এক সদস্য৷

https://p.dw.com/p/400eg
Türkei I Muslims Return To Syria For Eid Festival
ছবি: Depo/ZUMA/picture alliance

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে পালিয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের অনেককে সিরিয়ায় ফিরতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও তার আশেপাশের এলাকায় বাস করা এখন নিরাপদ আখ্যা দিয়ে ডেনমার্ক ও সুইডেন সে দেশে আশ্রয় নেয়া সিরীয় শরণার্থীদের থাকার অনুমতি বাতিল করা শুরু করেছিল৷ লেবানন ও তুরস্ক সিরীয় শরণার্থীদের দেশে ফিরতে চাপ দিচ্ছে৷ এমনকি তুরস্কের বিরুদ্ধে সিরীয় শরণার্থীদের জোর করে ফেরত পাঠানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে৷

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, বিভিন্ন দেশ যে সিরিয়াকে নিরাপদ বলে আখ্যা দিচ্ছে, তা ঠিক নয়৷ সিরিয়ায় ফেরত যাওয়া ৬৬ জনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি৷ এর মধ্যে ১৩ জন শিশু রয়েছে৷ অ্যামনেস্টি বলছে, ৬৬ জনের মধ্যে পাঁচজন ইতিমধ্যে কারাগারে মারা গেছেন৷ ১৭ জন কোথায় আছেন তা অজানা৷ ফিরে যাওয়া ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার, নির্যাতন, গুম ও যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷

লেবানন, রুকবান (জর্ডান ও সিরিয়ার সীমান্তে একটি এলাকা), ফ্রান্স, জার্মানি, তুরস্ক, জর্ডান ও আরব আমিরাত থেকে ফেরা শরণার্থীদের অভিজ্ঞতা জানার চেষ্টা করেছে অ্যামনেস্টি৷ এই শরণার্থীরা ২০১৭-র মাঝামাঝি থেকে ২০২১-র শুরুর মধ্যে সিরিয়ায় ফিরেছেন৷

অ্যামনেস্টির গবেষক মারি ফরেস্টিয়ার বলেন, ‘‘মানুষজন যে কারণে সিরিয়া ছেড়েছিলেন সেটাই কর্তৃপক্ষের টার্গেটে পরিণত হওয়ার জন্য যথেষ্ট৷''

নূর (ছদ্মনাম) নামের এক নারী তার দুই শিশুকে নিয়ে লেবানন থেকে সিরিয়ায় ফেরার সময়কার অভিজ্ঞতা অ্যামনেস্টিকে জানিয়েছে৷ সিরিয়া সীমান্তে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য ঐ নারীকে বলেন, ‘‘আপনারা সিরিয়া কেন ছেড়েছিলেন? কারণ আপনার বাশার আল-আসাদকে পছন্দ করেন না, সিরিয়া পছন্দ করেন না? আপনারা সন্ত্রাসী... সিরিয় হোটেল না যে আপনার খুশিমতো আসা-যাওয়া করবেন৷'' ঐ নারীকে আটক করা হয়েছিল৷ তিনি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন৷

অ্যামনেস্টির গবেষক ফরেস্টিয়ার বলেন, ‘‘বিশ্বের যে দেশের সরকার বলে যে সিরিয়া নিরাপদ, তারা আসলে ইচ্ছে করে ভয়াবহ বাস্তবতা উপেক্ষা করতে চায়৷''

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন৷ লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন৷

জেডএইচ/কেএম (ডিপিএ, এপি, এএফপি)