1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের কী হবে

৬ ডিসেম্বর ২০১৯

দাগি সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের কি এ বার ফেরত পাঠাবে জার্মানি? বৃহস্পতিবারের এক বৈঠক ঘিরে নতুন করে এই আলোচনা শুরু হয়েছে জার্মানিতে। তবে এর ফলে সাধারণ সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই প্রশাসনের বক্তব্য।

https://p.dw.com/p/3UIr6
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

জার্মানি কি এ বার সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের দেশে ফেরানো শুরু করবে? বৃহস্পতিবার জার্মানির ১৬টি রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর বৈঠকের পর এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বাস্তবে তেমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়নি বলেই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দাগি সিরিয়ান অপরাধীদের কেবলমাত্র ফেরত পাঠানো হবে বা দেশ থেকে বিতাড়িত করার ব্যবস্থা করা হবে। তবে সাধারণ সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের উপর কোনও চাপ তৈরি করা হবে না।

জার্মান বিদেশ মন্ত্রণালয় অবশ্য আগেই জানিয়েছে, সিরিয়ানদের ফেরত পাঠানোর  মতো অবস্থা এখনও তৈরি হয়নি। কারণ সিরিয়ার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। ফেরত পাঠালে উদ্বাস্তুদের জীবনসংশয় হতে পারে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর জার্মান মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন,সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের ফেরত পাঠানো হবে না, এ হেন সিদ্ধান্তের কোনও পরিবর্তন হয়নি। সে কথা তাঁরা বলছেনও না। তাঁদের কেবল বক্তব্য দাগি অপরাধীদের নিয়ে।

তবে প্রশ্ন উঠছে মুখে বললেও বাস্তবে কি দাগি অপরাধীদের খুঁজে বার করে ফেরত পাঠানো কি সম্ভব হবে? সিরিয়ার প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে জার্মানির এই মুহূর্তে কার্যত কোনও সম্পর্ক নেই। কাউকে ফেরত পাঠাতে চাইলে জার্মান প্রশাসন কার সঙ্গে যোগাযোগ করবে?

জার্মান বিদেশ মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, সিরিয়া থেকে যাঁরা পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হলে প্রাণহানির সম্ভাবনা আছে। কারণ সিরিয়ার সরকার তাঁদের বিরোধী পক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করে মেরে দিতে পারে।

উদ্বাস্তু সমস্যা এখন গোটা ইউরোপেই আলোচিত বিষয়। সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের নিয়ে কী করা উচিত, তা নিয়ে ইউরোপের নানা দেশের নানা মত। জার্মানি অবশ্য বরাবরই উদ্বাস্তুদের প্রতি মানবিকতা দেখিয়েছে। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, যখন দক্ষিণপন্থী শক্তি ক্রমশ ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে, তখন উদ্বাস্তুদের নিয়ে জার্মানি কী অবস্থান নেবে, তা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা চলছে। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবারের বৈঠক ফের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। 

শামিল শামস/এসজি