1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় শিশু জবাই

২১ জুলাই ২০১৬

সিরিয়ায় ‘মডারেট' হিসেবে পরিচিত এক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ক্যামেরার সামনে এক শিশুকে জবাইয়ের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এই ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন৷

https://p.dw.com/p/1JT2B
Syrien Aleppo Rebellen
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS

যে গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শিশু জবাইয়ের অভিযোগ উঠেছে তার নাম দ্য নুর আল-জিন্কি মুভমেন্ট৷ এই গোষ্ঠী বুধবার জানিয়েছে, তারা বিষয়টির তদন্ত করছে৷ এই গোষ্ঠীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে থাকে৷

তথাকথিত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট' এর মতোই নৃশংসভাবে ক্যামেরার সামনে শিশুটিকে জবাই করা হয়৷ প্রথমে একটি ট্রাকের পেছনে তাকে নিয়ে গিয়ে উপহাস করা হয়৷ এরপর এক যোদ্ধা চাকু দিয়ে শিশুটির শিরচ্ছেদ করে৷

ভিডিওতে এক পর্যায়ে দেখা যায়, শিশুটিকে বন্দি করা যোদ্ধারা তাকে সিরিয়া সরকারের পক্ষে লড়ছে বলে দাবি করে৷ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক যোদ্ধাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কুডস ব্রিগেডের এক বন্দি এই শিশুটি৷ তাদের আর কোনো পুরুষ অবশিষ্ট নেই, তাই আজ শিশুদের পাঠিয়েছে৷''

এরপর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, ‘‘এগুলো তোমার কুকুর, বাশার, কুডস ব্রিগেডের শিশুরা৷''

পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, শিশুটিকে হত্যা করা যোদ্ধারা বিদ্রোহী গোষ্ঠী দ্য নুর আল-জিন্কি মুভমেন্টের সদস্য৷ মানবাধিকার সংস্থাটি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে এবং এটিকে ‘ব্যক্তিগত ভুল' হিসেবে আখ্যা দিয়েছে৷

Washington - Irak Geberkonferenz
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এই ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেনছবি: Reuters/J. Roberts

নিহত শিশুটির সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি৷ তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাক্টিভিস্টরা শিশুটির নাম মাহমুদ ইসা এবং বয়স ১২ বছর বলে দাবি করেছে৷ আর কুডস ব্রিগেড দাবি করেছে, শিশুটি তাদের গ্রুপের সদস্য ছিল না, বরং সে ‘অসুস্থ' ছিল৷

ইন্টারনেটে শিশুটিকে জবাই করার ভিডিও প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এটির নিন্দা জানায়৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ কয়েকটি সংগঠন জানিয়েছে, এই ভিডিও প্রমাণ করছে সিরিয়ার বিদ্রোহী বা বিরোধী দলগুলোও পাশবিক বিভিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে৷

পিছু হটছে ‘ইসলামিক স্টেট'

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি আলোচিত ভিডিওটিকে ‘আতঙ্কজনক' আখ্যা দিয়েছেন৷ বুধবার ইরাকে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন তিনি৷ সেখানে কেরি জানান, ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর সহযোগীরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে, অনেক স্থান থেকে আইএসকে হটিয়ে দেয়া গেছে৷

তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের পর সম্প্রতি যেসব স্থান দখল করা গেছে, সেসব স্থানে শান্তি বজায় রাখতে যুদ্ধরত গোষ্ঠীগুলোর আরো সহায়তা প্রয়োজন৷

সিরিয়া যুদ্ধে বাস্তুহারাদের সহায়তায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি৷

এআই/এসিবি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান