1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি কি হবে?

২০ নভেম্বর ২০১৭

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি বলেছেন, মিয়ানমারের অং সান সু চির সঙ্গে কথা বলে তিনি ‘দারুণ উৎসাহিত'৷ এশিয়া ও ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শুরুর আগে তাঁদের মধ্যে এই আলোচনা হয়৷

https://p.dw.com/p/2nuxy
Bangladesch | Humanitäre Hilfe für Rohingya
ছবি: DW/ P. Vishwanathan

সোমবার থেকে মিয়ানমারে এই দুই মহাদেশের কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী বৈঠক, যা আসেম নামেও পরিচিত, শুরু হয়েছে৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এতে অংশ নিচ্ছেন৷

সু চির সঙ্গে বৈঠক শেষে মোঘেরিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমি এটাকে (আলোচনা) দারুণ উৎসাহব্যাঞ্জক মনে করছি৷ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি হবে বলে আমি খুবই আশাবাদী৷''

এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দু'দেশের মধ্যে চুক্তি নিয়ে কথা হচ্ছে৷ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ' গঠনেরও আশা প্রকাশ করা হয়েছে ঐ বিবৃতিতে৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি ঘনিষ্ঠ সহকর্মী দাবি করেছেন, ‘‘দুই দেশ এক ধরনের বোঝাপড়ায় প্রায় উপনীত হয়েছে, এখন শুধু কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো বাকি৷''

তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর ধারণা, এখনও যেহেতু অনেকে রাখাইন থেকে পালাচ্ছে তাই রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফেরত যাওয়ার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম৷

তবে বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের উপর চাপ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জার্মানি সহ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ রবিবার তাঁরা বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন৷ ইইউ-র মোঘেরিনিও এই সময় সঙ্গে ছিলেন৷ মিয়ানমারে আসেম বৈঠকের সময় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷

সু চির বক্তব্য

আসেম বৈঠকের উদ্বোধনীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সু চি বিশ্বের অস্থিতিশীলতার জন্য অবৈধ অভিবাসীদের আংশিকভাবে দায়ী করেন৷ তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসীরা সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে৷ উল্লেখ্য, মিয়ানমারে অনেকেই রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী মনে করে এবং তাঁরা সহিংস কার্যক্রমে জড়িত বলে অভিযোগ করে৷

চীনের প্রস্তাব

তিন ধাপে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছে চীন৷ সোমবার এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব দেয়৷ প্রথম ধাপে রাখাইনে যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়৷ এই ধাপ ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে বলেও মনে করছে চীন৷ দ্বিতীয় ধাপে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কথা বলা হয়৷ আর সবশেষ ধাপে সমস্যার মূলে গিয়ে তার সমাধানের পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷ চীনের মতে, সমস্যার মূলে রয়েছে দারিদ্রতা৷ তাই ঐ অঞ্চলকে সহায়তা করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য