1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুইডেনেও চরম দক্ষিণপন্থি বাতাস, নির্বাচনের ফলাফল অস্পষ্ট

১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইউরোপে আবার চরম দক্ষিণপন্থিদের নির্বাচনি সাফল্য৷সুইডেনে রবিবারের সাধারণ নির্বাচন ইউরোপীয় স্তরে বাড়তি আগ্রহ ও গুরুত্ব পাচ্ছে৷ প্রায় ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে অভিবাসনবিরোধী ডেমোক্র্যাট দল৷

https://p.dw.com/p/34azt
Schweden Wahlen Ministerpräsident Stefan Löfven
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Aimo-Koivisto

‘উদারপন্থি' হিসেবে পরিচিত সমাজে এমন পরিবর্তন সত্ত্বেও হাল ছাড়তে প্রস্তুত নন সামাজিক গণতন্ত্রী দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী স্টেফান ল্যোভেন৷ বিরোধীরা তাঁর পদত্যাগের দাবি করলেও তিনি মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে চরম দক্ষিণপন্থিদের প্রভাব সীমিত রাখতে চান৷ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পরই তিনি আগামী পদক্ষেপ নিতে চান৷ বুধবার সরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশিত হবার কথা৷ এরপর তিনি বিরোধী দলগুলির সঙ্গেও জোট সরকার গড়ার বিষয়ে আলোচনা করতে চান৷ তারা অবশ্য সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছে না৷

নির্বাচনি ফলাফলের চুলচেরা বিশ্লেষণ যা-ই হোক না কেন, সুইডেনে আগামী সরকার গড়ার কাজ যে মোটেই সহজ হবে না, এ বিষয়ে তেমন কোনো সন্দেহ নেই৷ কোনো দল বা জোটই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না৷ ক্ষমতাসীন সামাজিক গণতন্ত্রীরা সমর্থন হারানো সত্ত্বেও সামান্য ব্যবধানে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে জোট সরকার গড়ার সুযোগ পেতে চলেছে৷ সংসদে ১২টি আসন হারিয়ে ১০১টির মতো আসন পেয়েছে সামাজিক গণতন্ত্রীরা৷ জোটসঙ্গী সবুজ দলের সঙ্গে মিলে প্রায় ১৪৪টি আসন পেতে চলেছে তারা৷ এতকাল বাম দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার চালিয়ে এসেছে এই জোট৷ সরকার গড়ার জন্য কমপক্ষে ১৭৫টি আসনের প্রয়োজন৷ অন্যদিকে মধ্য ও দক্ষিণপন্থিদের ‘অ্যালায়েন্স জোট' আসনের বিচারে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে৷ এই জোটের রক্ষণশীল দলও ১৪টি আসন হারিয়েছে৷ বিরোধী জোট ও মধ্যপন্থি দলের নেতা উল্ফ ক্রিস্টার্সসোন নিজে প্রধানমন্ত্রী হতে চান৷ তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ডাক দিয়েছেন৷ কোনো জোটই সুইডেন ডেমোক্র্যাট দলের সঙ্গে সরকার গড়তে প্রস্তুত না হওয়ায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে৷

সুইডেন ডেমোক্র্যাট দলের সাফল্যের ফলে ইউরোপের অন্যান্য চরম দক্ষিণপন্থি দলগুলিও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে৷ ইটালির উপ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাটেও সালভিনি এই ফলকে স্বাগত জানিয়ে এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘‘বহু সাংস্কৃতিক মতবাদের জন্মস্থান ও বামপন্থি মডেল হিসেবে পরিচিত দেশ সুইডেন অনেক বছরের বলগাহীন, অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের পর পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷''

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান