1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুদানে বিদ্রোহ দমন

১৫ জানুয়ারি ২০২০

সুদানে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন প্রাক্তন গোয়েন্দা অফিসাররা৷ দেশের স্বৈরাচারী শাসন থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তনের পথে এটাই সব থেকে বড় বিদ্রোহ৷ অন্তর্বর্তী সরকার তার মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3WDgi
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. El-Mofty

ব্যবস্থা পরিবর্তনের মধ্যেই বিদ্রোহ৷ প্রাক্তন গোয়েন্দা অফিসারদের৷ আগের স্বৈরাচারী আমলে যাঁদের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম৷ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে তাদের আর বহাল রাখা হয়নি৷ বিনিময়ে তাদের যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে ক্ষোভ৷ যার জেরে সশস্ত্র বিদ্রোহ৷

মঙ্গলবার গুলির শব্দে সচকিত হয়ে যান সুদানের শহর খার্তুমের লোকেরা৷ তারপর বোঝা যায় দেশের প্রাক্তন গোয়েন্দাদের একাংশ বিদ্রোহ করেছে, আর তাদের মোকাবিলা করছে সরকারি বাহিনী৷ সুদানের জেনারেল ইনটেলিজেন্স সার্ভিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন গোয়েন্দা অফিসাররা তাদের প্যাকেজ নিয়ে ক্ষুব্ধ৷ প্রাক্তন স্বৈরাচারী শাসক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের অপসারণের পর তাদেরও ছুটি করে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু আলোচনার পর জাতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সার্ভিস বা এনআইএসএসের বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ করে দিয়েছেন৷

সরকারের দাবি, সংঘর্ষের ফলে কেউ মারা যাননি৷ কেবল পাঁচজন আহত হয়েছেন৷ তবে আল বাশির ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর তাঁর সমর্থক ও অন্তর্বর্তী সরকারের বাহিনীর মধ্যে এটাই ছিল সব চেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনা৷ গত অগাস্টে আল বাশিরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর এখন সামরিক ও অসামরিক লোকেদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারচলছে৷ তিন বছরের মধ্যে তারা ভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷

সরকারের মুখপাত্র ফৈসল মোহাম্মদ সালেহ জানিয়েছেন, ''সরকারেরকাছ থেকে প্রাপ্য অর্থ তাদের মনঃপুত হয়নি বলেই তারা এই পথ নিয়েছিল৷'' আর আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদেন ডাগালোর সাফ কথা, ''আমরা কোনও ধরনের বিদ্রোহ বা বেআইনি পরিবর্তন বরদাস্ত করব না৷  পরিবর্তন যদি করতে হয়, সেটা সুদানের লোক করবেন৷ এই বিক্ষুব্ধ গোয়েন্দা অফিসারদের কাছ থেকে আগেই অস্ত্র নিয়ে নেওয়া উচিত ছিল৷''

জেএইচ/এসজি(রয়টার্স, এএফপি, এপি)